সময়টা এমনিতেই ভাল যাচ্ছিল না তার। টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির রেশ কাটতে না কাটতেই বিসিবি সভাপতি গুরতর অভিযোগ তুললেন। বাংলাদেশের অধিনায়কই নাকি টেস্ট খেলতে চান না!
মাথায় এত চাপ নিয়ে মাঠে নামাটা কম কথা না। তবুও নেমেছেন, খেলেছেন এবংকি পেরেছেনও। সহজাত খেলা খেলে শেষ পর্যন্ত দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মন জয় করেই মাঠ ছেড়েছেন বিশ্বের সেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল-হাসান।
তবে আর তিনটা রান যদি করতে পারেতেন পেয়ে যেতে ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি। তিন রানের আক্ষেপ যেমন পোড়াচ্ছে ভক্তদের, তেমনি পোড়াবে সাকিবকেও। যদিও সাকিব এসব রেকর্ডের ধার ধারেন না। আবেগ তার কাছে কাজ করে না।
এটা সত্যও বটে! আবেগ যদি কাজ করত উইন্ডিজদের বিরুদ্ধে তাদেরই মাটিতে এমন বীরোচিত ইনিংস খেলতে পারতেন না। আজ গায়নায় মাঠে এসেছিলেন ইনিংসের শুরুতেই। এখানেও দেখিয়েছেন সাহস।উইন্ডিজ সিমারদের বিপক্ষে শুরুতে ধীরে ধীরে খেললেও শেষে চড়াও হয় সাকিবের ব্যাট। তামিমের সঙ্গে মিলে উইন্ডিজদের বিপক্ষে গড়েছেন রেকর্ড জুটি।
দেশের হয়ে রেকর্ড করলেও কাছে গিয়েও সেঞ্চুরিটা অধরা রয়ে গেল সাকিবের। ৯৭ রানের মাথায় বিশুর বলে হেটমায়্যারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আক্ষেপ নিয়ে ফিরে যান সাজ ঘরে। সাকিব ফিরে গেলেও তামিমের অপরাজিত ১৩০ আর মুশফিকের ঝড়ো ইনিংসে ২৮০ রানের টার্গেট দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।