গত শনিবার গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরের কক্ষ দখলে নিতে যায় ছাত্রলীগ। পরে হল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তারা কক্ষটি দখলে নিতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানীর অনুসারী শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত হোসেন জৌতিসহ অন্তত ২০ জন ছাত্রলীগ কর্মী নুরুর ১১৯ নম্বর কক্ষে যায়। তারা নুরের রুমমেট নাজিমকে কক্ষ থেকে বের হয়ে ১১১ নম্বর কক্ষে যেতে বলেন।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা নুরের বইপত্র বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়ার কথা বলেন। উপস্থিত ছাত্রলীগের কর্মীরা নুরের বইপত্র নিয়ে হলের সিঁড়ির কাছে রাখেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে মুহসীন হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম এসে বইপত্রগুলো কক্ষের ভেতরে নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে নুরের রুমমেট নাজীম বলেন, আমাকে এসে তারা ১১১ নম্বর কক্ষে যেতে বলেন। বইপত্রগুলো বের করেন। এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি। অভিযুক্তদের ব্যাপারে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী বলেন, এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা ছাত্রলীগের অতি উৎসাহী পোলাপান।
তাদের খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে নুরুল হক নুর বলেন, ওরা চেয়েছিল আমার বইপত্র-সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দিয়ে একটি আতঙ্ক সৃষ্টি করতে, যাতে আর কেউ কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে সাহস না পায়। আমি ঘটনাটি প্রক্টর স্যারকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এএফএম গোলাম রব্বানী বলেন, হল প্রশাসনকে সমন্বয় করে প্রক্টরিয়াল টিম পাঠিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।