শনিবার , ২১ জুলাই ২০১৮ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চাপ দিতে মিয়ানমার যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
জুলাই ২১, ২০১৮ ৮:১৬ অপরাহ্ণ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির তাগিদ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী ৮ আগস্ট মিয়ানমার যাচ্ছেন। এ সময় তিনি রাখাইন রাজ্য সফর করে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের প্রস্তুতি সরেজমিন দেখবেন। এ ছাড়া সঙ্কট সমাধানের উপায় নিয়ে মিয়ানমার নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করবেন।

মূলত চীনের উদ্যেগেই মাহমুদ আলীর মিয়ানমার সফরের আয়োজন কর হয়েছে। গত মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র আমন্ত্রণে বেইজিং সফর করেন মাহমুদ আলী। এ সময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শক অং সান সু চির দফতরের মন্ত্রী চ টিন্ট সোয়ের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিরতিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যোগ দেন। এ সময় মাহমুদ আলীকে রাখাইন সফরের আমন্ত্রণ জানান টিন্ট সোয়ে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে সফরের দিনক্ষন নির্ধারিত হয়।

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চীন বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু প্রত্যাবাসনের কাজ দ্রুত শুরুর জন্য মিয়ানমারকে তাগিদ দিচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সাথে ঢাকায় অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছিল। মিয়ানমার মোট চার দফায় ২ হাজার ১৫৪ জনের বিষয়ে অনাপত্তি জানিয়েছেন। তবে সমস্যা বেঁধেছে ন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন কার্ড পূরণ নিয়ে।

মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে এই কার্ড পূরণ করার তাগাদা দিয়ে গেছেন। কিন্তু এ কার্ডে ‘বাঙ্গালী’ হিসাবে পরিচয় থাকায় রোহিঙ্গারা তা পূরণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী বাঙ্গালী হিসাবে চিহ্নিত করে থাকে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা – উভয় পক্ষেরই আপত্তি রয়েছে। রোহিঙ্গারা রাখাইনে বসবাসের অনুকূল পরিবেশ ও মিয়ানমারের নাগরিক হিসাবে মৌলিক অধিকার চায়।

এদিকে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন বার্গনার রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আগামীকাল নিউ ইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিবেদন দেবেন। রুদ্ধদার এই বৈঠকে বার্গনার তার সাম্প্রতিক মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফরের ওপর আলোকপাত করবেন। এ প্রতিবেদনের ওপর নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা আলোচনা করবেন।

গত আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর নজীরবিহীন নৃশংসতার পর এ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচবার বৈঠক হয়েছে। এ সব বৈঠকে চীন ও রাশিয়া সরাসরি মিয়ানমারের পক্ষ অবলম্বন করায় কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা যায়নি। সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমারের প্রতি তাগাদা দিয়ে গত নভেম্বরে পরিষদ একটি প্রেসিডেন্টশিয়াল বিবৃতি দেয়।

এ ছাড়া পরিষদের সদস্যরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করে সঙ্কট সমাধানের উপায় নিয়ে দুই দেশের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেছে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের উদ্যোগ এখন পর্যন্ত আলোচনা ও বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। চাপের মুখে মিয়ানমার ভবিষ্যতে কিছু রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিলেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

(Visited ৮ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি