এতটা আত্ম বিশ্বাসী কখনও দেখা যায়নি আওয়ামীলীগকে। দেখা যায়নি এভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে। তরুণ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বরিশাল আওয়ামীলীগ।
নতুন নেতার হাত ধরে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ‘বিসিসি জয়’ এখন ক্রমশই বরিশালের আকাশে দৃশ্যমান হচ্ছে। বিগত দুটি সিটি নির্বাচনেই আওয়ামীলীগে যে গৃহ বিবাদ ছিল এবার এর ছিটেফোটাও নেই। প্রবীন থেকে তরুণ, কেন্দ্র থেকে জেলা, মহানগর, উপজেলা সব খানে এখন সাদিক আবদুল্লাহকে নিয়ে স্বপ্ন রচনা শুরু হয়েছে।
সে স্বপ্নের সুতিকাগার বরিশাল আওয়ামীলীগের তৃণমূল। বহু বিভক্ত তৃণমূলের নেতাকর্মীদের স্বপ্নের কান্ডারী এখন সাদিক আবদুল্লাহ। হাটখোলার শিপু কিংবা সাগরদীর মোতালেব সবার চোখেমূখেই স্বপ্ন। এবার সাদিকের হাত ধরেই নগর পিতার আসনটি পুনরুদ্ধার হবে আওয়ামীলীগের।
২০০২ সালে পৌরসভা থেকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরীত হবার পর নগর পিতার আসনটি মিউজিক্যাল চেয়ারে পরিণত হয়। প্রথম মেয়র হন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আহসান হাবিব কামাল। এর পর মজিবর রহমান সরোয়ার।
২০০৮ সালের নির্বাচনে শওকত হোসেন হিরনের মাধ্যমে নগর পিতার আসনে প্রথম বসেন আওয়ামীলীগের কোন নেতা। তবে তার মৃত্যুর পর আবার এ আসনটি বিএনপির আহসান হাবিব কামালের করায়াত্ব হয়।
২০১৩ সালের নির্বাচনের আগেই খন্ড বিখন্ড হয়ে পড়ে আওয়ামীলীগ। এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সে সময় বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করে। হিরণ মারা যাবার পর আরও করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
আর ঠিক সে সময়েই একজন নেতা হিসাবে আবির্ভাব ঘটে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর। নিজ প্রজ্ঞা, মেধার সমন্বয়ে এক কাতারে নিয়ে আসেন আওয়ামীলীগকে। তার রাজনৈতিক মেধার পরিচয়ে মুগ্ধ হন কেন্দ্র।
যুবলীগ থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। দায়িত্বও বেড়ে যায় কয়েকগুন। নিজেকে একজন যোগ্য রাজনৈতিক হিসাবে গড়ে তুলতে প্রবীনদের অনুকরণ করেন।
ছুটে যান বিভিন্ন স্থানে সহকর্মীদেরর দুঃখ ভাগ করে নিতে। দিন রাত পরিশ্রম করতে থাকেন। তার এ পরিশ্রম বৃথা যায়নি। ক্রমন্বয়ে শক্তিশালী সাংগঠনিক রূপ পেতে থাকে বরিশাল আওয়ামীলীগ।
কি মহানগর, কি জেলা, সর্বত্র সাদিক আবদুল্লাহর অস্থিত্ব ছিল সরব। আর সে কারণেই এবার সর্বস্থরের নেতা কর্মীদের আনেকটাই দাবি ছিল সাদিককে মেয়র পদে মনোনয়ন। কেন্দ্রও দেরি করেনি।
সাদিকের হাতেই তুলে দেয়া হল নৌকার বৈঠা। গন্তব্য বিসিসি। মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল দৃঢ় কন্ঠে বলেন তার রাজনৈতিক জীবনে বরিশাল আওয়ামীলীগকে এতটা ঐক্যবদ্ধ কখনও দেখেননি।
আশা করা হচ্ছে বিসিসির নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধাণে জয়লাভ করবে আওয়ামীলীগ। ইনশাল্লাহ দেশের সবচেয়ে তরুণ মেয়র হবেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লহ।
উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা সাইদুর রহমান রিন্টু দ্বার্থহীন কন্ঠে বলেন, এবার আওয়ামীলীগের বিজয় কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। যে উন্নয়ন বিপ্লব বরিশালে সাবেক মেয়র শওকত হোসেন শুরু করেছেন, তা অব্যাহত রাখতে এমন একজন তরুণ নেতার প্রয়োজন। সেরনিয়াবাত পরিবারের গর্ব সাদিককে নিয়ে অবশ্যই স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল।