রির্পোটঃ খাইরুল ইসলাম.
নাগরিক সাংবাদিক.
মানুষ আজ অনেক সচেতন। হাতে আজ তাদের স্মার্টফোন, স্বচ্ছ ক্যামেরা আছে তাতে। এই ক্যামেরা তো অনেক কিছু তুলে আনতে পারে! প্রশ্ন দাড়ায় এই ক্যামেরা এবং ফোন দিয়ে মানুষ কী তুলছে বা ধারণ করছে? বেশীর ভাগ সময়েই আমরা দেখি মানুষ ভীষণ ব্যস্ত। এই ব্যস্ততা নিজেকে নিয়ে, কিন্তু মানুষ যদি আজ ব্যস্ত হয় অপরকে নিয়ে! দেশের কল্যাণের জন্য! মানুষের কল্যাণের জন্য! তাহলে বাংলাদেশের চেহারা বদলাতে শুরু করতো। দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যেত।
আজ অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং কার্যকর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ফেসবুক এ আমরা কোটি কোটি মানুষ আছি অন লাইন এ। আমরা সকলে কী নিয়ে কথা বলছি? কী নিয়ে কমেন্ট করছি? কী নিয়ে মেতে আছি? এগুলো আজ আপাত দৃষ্টিতে খুব ব্যাক্তিগত ব্যাপার বা পোস্ট মনে করলেও বা মনে হলেও এমন একটা সময় আসবে যখন ব্যক্তিকেন্দ্রিক আচরণ বা শিশুসুলভ সময়ের জন্য আমরা নিজের কাছেই হবো প্রশ্নবিদ্ধ।
‘আমি তো নিজেই পারতাম পাশের বাড়ীর দুস্থ মানুষটির একটা ছবি তুলে তার কষ্টের কথা সকলকে জানাতে।’
অথবা, আপনি ভাববেন, ‘ আমি তো কোনোদিন সমাজের বা দেশের বা দেশের মানুষের উপকারে আসে এমন কোনো পোস্ট দিইনি!’ আমি তো পারতাম আমাদের এলাকায় ভাঙা রাস্তাটা নিয়ে কিছু লিখতে, যা দেখে আরেকজন বন্ধু তার নিজের পোস্ট দেয়া ব্যতিক্রম ঘটিয়ে লিখতে শুরু করলেন ভালো কিছু নিয়ে ।’ এমন হতেই পারে। কিন্তু ভাবতে হবে। আমরা যদি আজকে একটি ভাল কাজ একজন পোস্ট করি হয়তো একটি লাইকই পাবো। কিন্তু শুরু তো করি। দেখা যাবে আমার একটি পোস্ট দেখে ফেলেছেন নীতিনির্ধারকদের কেউ , তিনি নিতে পারেন সাহায্য, সহযোগিতার পদক্ষেপ, হয়ে যেতে পারে সমাধান আপনার বা আপনাদের যে কোনো বন্ধুর একটি পোস্ট থেকেই।
আপনার বাসার পাশেই লেকটি পানি নোংরা হয়ে দুর্গন্ধ বাতাসে, আপনি তখন ক্যামেরা খুলে একটি ছবি তুলুন। আপনার বন্ধুদের দেখান, আপনিই সিটিজেন জার্নালিস্ট আপনি পারেন সাংবাদিক হয়ে আপন উদ্যোগে একটি অজানা বিষয় সবার নজরে নিয়ে আসতে, হয়ে যেতে পারে সমস্যাটির অতি দ্রুত সমাধান। সকলের সচেতন সহনশীল আচরণ, মন্তব্য, শেয়ার এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে ঘটনাটি শুধু আপনার কারনেই।
যা কিছু ভাল এবং এগিয়ে যাবার কথা বলে তা সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।
আপনাকে অনুসরণ, আপনাকেই অনুকরণ করবে সকলে ভালো কিছু কীভাবে করতে হয় তা দেখিয়ে দেবার জন্য।
নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি হোক। আসুন, মায়াময় শাণিত সহানুভূতিশীল দৃষ্টি দিয়ে নিজের ক্যামেরা লেন্সটিকে ব্যবহার করি। মানুষের কষ্টে সুখে আনন্দে প্রাপ্তিতে যে কোনো ভালো সংবাদ আমরা “ধনাত্মক মানদণ্ডে’ হিসাব করে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করি। ইংরেজি ভাষায় বলে, sharing is caring সকলে কেয়ারিং হোক মানুষের প্রতি। সকলে কেয়ারিং হোক সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি। সিটিজেন জার্নালিজম হোক সুন্দর, হোক সার্থক।