প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হক ও টেকনিশিয়ান শাহ আলমকে (দুজনই সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব আলম পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আসামীদের ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করেন এবং মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানীতে জরুরি অবতরণ করে। পরে ত্রুটি মেরামত করে চার ঘণ্টা অনির্ধারিত যাত্রাবিরতির পর ওই উড়োজাহাজেই প্রধানমন্ত্রী বুদাপেস্টে পৌঁছান।
ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গত ১৮ ডিসেম্বর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ বিমানের ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর বরখাস্ত হন বিমানের তিন প্রকৌশলী। এরপর ২০ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়। বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাটেরিয়েল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এসএ সিদ্দিক ও প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।