বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ৪টি ওয়ার্ডের ১০টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। এ ১০টি কেন্দ্রে মোট ২২ হাজার ৮৪৮ জন ভোটার ইভিএমে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন।
বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে বিসিসি নির্বাচনের প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছেন কি-না তা তদারকি করতে পৃথক ভিজিল্যান্স টিম ও মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোটা নির্বাচনে আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনে থাকবেন জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ইভিএমে যে কেন্দ্রগুলোয় ভোট গ্রহণ করা হবে সেগুলো হচ্ছে- ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কিশোর মজলিস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নুরিয়া আইডিয়াল স্কুল, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অক্সফোর্ড মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও গোাবিন্দমোহন চৈতন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিএম কলেজের কলা বিভাগ কেন্দ্র ও বিএম কলেজের বাণিজ্য বিভাগ কেন্দ্র এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, সৈয়দ আব্দুল মান্নান ডিডিএফ মাদরাসা নিচ তলা এবং সৈয়দ আব্দুল মান্নান ডিডিএফ মাদরাসার দ্বিতীয় তলা।
এদিকে রিটানিং কর্মকর্তার কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী আচরণবিধি তদারকি করতে ১০ সদস্যের ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান এবং সদস্য সদস্য সচিব সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন খান। অপর আট সদস্যের মধ্যে রয়েছেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুলাই নির্বাচন কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরিশাল জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনে থাকবেন। তারা প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি সহায়তা দেবেন। ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হলেন- সুজিত হালদার, মো. হুমায়ন কবির, উর্মি ভৌমিক, মো. আহসান মাহমুদ রাসেল, রূপা সিকদার, দিপকংর দাস, এসএম রবীন শীষ, জয়দেব চক্রবর্তী, মো. রায়হানুজ্জামান ও মো. রেদওয়ান কবির।