ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার পর আপত্তি ওঠা ভ্যাট আইনের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অর্গানাইজেশনের (এফএও) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রিপ্রেজেন্টেটিভ সুসান লোরেইন লাটজির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ গত বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) দিতে আপত্তি জানিয়ে ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামায় ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা থেকে সরে আসে সরকার। ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে এ আইন কার্যকর হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাট নিয়ে লম্বা আলোচনা হয়েছে কারণ ভ্যাট নিয়ে অভিযোগ-টভিযোগ আছে। এটা আমাদের ব্যবসায়ী সমাজ এটাকে ঠিকমত গ্রহণ করেনি। এটা নিয়ে আমাদের ইন্টারনাল আলোচনা ছিল।’
তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন একজন কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলাম, সেটি দিয়েছেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এটা নিয়ে আরও আলোচনা করা দরকার। আমার মনে হয় যে এ বিষয়ে এখন আর কিছু বলতে পারব না। এনবিআর মালিক ও শিল্প সমিতির সঙ্গে আলোচনা করছে, আমিও তাদের সঙ্গে আরেকটা সভায় বসব। তারপরে হয়তো কিছু সিদ্ধান্ত নেব। সিদ্ধান্ত নিলেও সেটা কার্যকরী করতে করতে বোধহয় আগামী বাজেট চলে আসবে।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘আমরাও শুনতে চাই। কারণ তারা (ব্যবসায়ী) যদি অপোজ করেন তাহলে ভালো কাজ হবে না। মডিফাই (মূসক আইন) নিয়ে তাদের অবস্থান জানতে চাই। ছয় মাস পরে এটি কার্যকর হবে। এটা নিয়ে কিছু কাজ করতে হবে।’
ব্যবসায়ীরা ভ্যাট ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে চাচ্ছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি ১৫ শতাংশই হবে। আমি তখনও বলেছি, একটু অভ্যস্থ হলে তখন বিভিন্ন রেইটস নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। শুরুতে একই রেইটস একটা ভালো সিদ্ধান্ত।’
চলতি বছর শেষে রাজস্ব ৪০ হাজার কোটি টাকা হবে বলে সিপিডি ধারণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কীসের ভিত্তিতে সিপিডি এমন প্রাক্কলণ করেছে?’
সব আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো অবস্থানে রয়েছে বলেও দাবি করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।