শনিবার , ২৮ এপ্রিল ২০১৮ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

বরিশালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আ.লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যারা

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
এপ্রিল ২৮, ২০১৮ ৩:৩২ অপরাহ্ণ

আগামী ঈদ উল ফিতরের পরেই অনুষ্ঠিত হতে পারে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। যে কারণে বেশ খোশ আমেজে রয়েছে বরিশালের আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বেশ দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে দুই শক্ত প্রার্থীর মধ্যে।

২০০৮ সালে মহানগরে আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন হীরন জিতেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নগরে এই প্রথম এই দলটির প্রার্থী জয়ী হয়। আর মেয়র থাকাকালে পাঁচ বছরে শহরের চেহারাই অনেকটা পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৩ সালে হীরন হেরে যান বিএনপির আহসান হাবীব কামালের কাছে।

ওই নির্বাচনের পর ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের মধ্যে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হীরন। কিন্তু ওই বছরের ৯ এপ্রিল তিনি মারা যান।

বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত মহানগরে আওয়ামী লীগের অবস্থান শক্তিশালী করতে হীরনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে এখনও তার বিকল্প হিসেবে এককভাবে কারও নাম সামনে আসেনি। ফলে সিটি নির্বাচনে দল কাকে বেছে নেয়, সেটা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে যেমন আলোচনা আছে, তেমনি বিরোধী পক্ষেরও আছে দৃষ্টি। কারণ, প্রার্থী যেই হোক, তিনি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত বরিশাল আওয়ামী লীগে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জাহিদ ফারুক শামীম এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

জাহিদ ফারুক শামীম বরিশালে তেমন সক্রিয় না হলেও তিনি বেশ কয়েকবার বরিশাল সদর আসন থেকে থেকে নির্বাচন করেছেন। দলের কেন্দ্রে তার অবস্থানও ভালো।

তবে নগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ প্রকাশ্যেই সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষ নিয়েছেন।

আবার নিজ দলে সাদিক আবদুল্লাহর বিপক্ষে অবস্থান নেয়া নেতাও আছেন। তারা চাইছেন অন্য কাউকে প্রার্থী করা হোক। তাহলে হারানো করপোরেশনের আবার দখল নেয়া যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর আওয়ামী লীগের এক পদধারী নেতা বলেন, ‘একাধিক কারণে আমরা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে মেয়র পদে দেখতে চাই না। তবে এটা বলব না যে তার যোগ্যতায় ঘাটতি আছে। সে চেষ্টা করছে মানুষের কাছে যাওয়ার। কিন্তু বরিশাল নগর পিতার পদের জন্য আরো সিনিয়রিটি (জ্যেষ্ঠতা) দরকার। তা না হলে আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড ভেঙে যাবে।’

‘কেননা এখনই অনেকে পেছনে বসে নানা আলোচনা করছে। দেখা যাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই সাদিক আব্দুল্লাহকে ভোট দেবে না। তাতে সর্বোপরি সাদিক আব্দুল্লাহর নয়, ক্ষতি হবে আওয়ামী লীগের।’

একইভাবে জাহিদ ফারুক শামীমকে নিয়েও আছে অসন্তোষ। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা হলেও নগরে তিনি সক্রিয় না থাকা একটি সমস্যা।

মহানগর আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, ‘তিনি (জাহিদ ফারুক শামীম) আওয়ামী লীগের কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত নন। তাকে মাঝে মধ্যে দেখা যায়। তিনি এখন নিজের প্রচারণা চালাচ্ছেন কিছু ছেলে দিয়ে। আর রাস্তায় রাস্তায় করাচ্ছেন পোস্টারিং। আমরা বরিশাল আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত যোগ্য ও ত্যাগী একজন নেতাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।’

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রশ্নে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, ‘আমরা চাই আওয়ামী লীগের জন্য যারা কাজ করে তারাই নির্বাচনে প্রার্থিতা পাক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানিয়েছি যাতে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে মনোনয়ন দেয়া হয়। সাদিক আব্দুল্লাহ মেয়র হলে বরিশালের উন্নয়নের জন্য সাধারণ মানুষকে আর ভাবতে হবে না।’

জাহিদ ফারুক শামীমের বেশ কয়েকজন অনুসারীর কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে তারা এই মুহূর্তে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি নন।

অন্য যারা আগ্রহী সাদিক এবং জাহিদ ছাড়াও ভোটের লড়াইয়ে আগ্রহী ২০১৩ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া যুবলীগ নেতা মাহামুদুল হক খান মামুনও। তিনি প্রকাশ্যে তার ইচ্ছার কথা বলে যাচ্ছেন।

আলোচনায় আছেন প্রয়াত নেতা আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছেলে খোকন সেরনিয়াবাতও।

(Visited ৪ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি