জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের কার্যনির্বাহী সভাপতি মঈনউদ্দিন খান বাদল রাজধানীর ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের বিরোধীতা করে বলেছেন, ‘এই ধরনের আচরণ ঘুরে ফিরে সরকার এবং সংসদ সদস্যদের মাথায় এসে পড়বে।’
তিনি বলেছেন, ‘যারা বুলডোজার চালিয়ে যাচ্ছেন, আমি জানি না সংসদ সদস্যদের সঙ্গে তাদের কতটুকু সংযোগ আছে। কিন্তু আমি এটা বলব, এই ধরনের আচরণ ঘুরে ফিরে সরকার এবং সংসদ সদস্যদের মাথায় এসে পড়বে।’
দশম জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অনির্ধারিত আলোচনা অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেছেন।
বাদল বলেছেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকা শহর কর্তৃপক্ষ বুলডোজারের সাথে হকারদের একটা বিতর্ক বিরোধ চলছে । হকাররা চোখের সামনে তাদের জীবন জীবিকা ধ্বংস হতে দেখছেন। এখানে একটি বিষয় প্রনিধানযোগ্য- আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ দেশের হাজারও রকম কনফ্লিক্ট এড়ানোর জন্য ঘোষনা দিয়েছেন কাউকে প্রপারলি রিপ্লেসমেন্ট করা ছাড়া তাকে কোথাও থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, হঠাৎ করে মনে হচ্ছে, ঢাকা শহরকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর শহর বানিয়ে ফেলার একটা প্রচণ্ড প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা দ্রুত এগুচ্ছি । উন্নয়ন দ্রতগামী হচ্ছে। তার পাশাপাশি এটাও সত্য বাংলাদেশে মাত্র ১০ শতাংশ লোকের কাছে ৪৭ ভাগ সম্পদ একত্রিত হয়েছে। ৪০ শতাংশ নিচের দিকের লোকের কাছে মাত্র ১৩ শতাংশ সম্পদ আছে। এই বাস্তবতায় ফুটপাতের অর্থনীতি বলে একটা অর্থনীতি আছে। কারণ, যতই চোখ ধাঁধানো বিপনিবিতান হোক না কেন, সাধারণ ক্রেতারা ওখানে ঢুকতে পারেন না। সুতরাং সাধারণ ক্রেতাদের সাথে করসপন্ডিং ক্রেতাও পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে থাকে।’
বাদল আরো বলেছেন, ‘অনেকেই বলেছেন হকারদের জন্য সড়কে জ্যাম হচ্ছে। কিন্তু গতকাল বিশ্বরোডের কুড়িল ফ্লাইওভাবে প্রায় দেড় মাইল লম্বা জ্যাম দেখলাম।ওখানে কোনো হকার নেই। আমাদের গাড়ির চাপের কারণে জ্যাম হচ্ছে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে জ্যাম হচ্ছে।’
২০১৪ সালের ভারতীয় লোকসভা একটি আইন করেছে হকার ও পথবিক্রেতাদের সুরক্ষার জন্য-এমনটা উল্লেখ করে তিনি স্পিকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনার মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই এই আইনের দিকগুলোও যেন উনারা বিবেচনা করেন।’