বাঙালির প্রাণের উৎসব ‘বাংলা নববর্ষ’ পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে আয়োজিত বৈশাখী মেলা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সব সিনেমা হল এবং জনসমাগমস্থলে বাড়তি নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়া জরুরি উদ্ধার অভিযানে র্যাবের হেলিকপ্টার নিয়োজিত থাকবে। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে অপপ্রচার চালিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এবং নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে বর্ষবরণ উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সভায় এসব তথ্য জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
আইজিপি বলেন, জনগণ পহেলা বৈশাখ যেন আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারে সেজন্য সবাইকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে আয়োজিত বৈশাখী মেলা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন আইজিপি।
তিনি বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে আবহমান কাল ধরে শহরে, গ্রামে-গঞ্জে বিভিন্ন ধরনের মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বাঙালি জাতির প্রাণের এ অনুষ্ঠান সবার মধ্যে বিশেষ করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পহেলা বৈশাখ আমরা নিরাপদে উদযাপন করতে সমর্থ হবো।
সভায় রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূল, রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিলসহ বৃহৎ জনসমাগমস্থল এবং মঙ্গল শোভাযাত্রায় পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় শপিং সেন্টার, মার্কেট, বাজার, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে নববর্ষের হালখাতা অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রেলস্টেশন, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালসহ জনসাধারনের চলাচলের স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোখলেসুর রহমান, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, এপিবিএন-এর অতিরিক্ত আইজিপি সিদ্দিকুর রহমান, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম, এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।