মঙ্গলবার , ৩ এপ্রিল ২০১৮ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

প্রাথমিকেও থাকছে না এমসিকিউ

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
এপ্রিল ৩, ২০১৮ ৮:৫২ অপরাহ্ণ

চলতি বছর থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক/ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় নৈব্যক্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্ন থাকছে না। তার বদলে সৃজনশীল প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তির ফলাফল প্রকাশের পর মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রশ্নফাঁসের সুযোগ বন্ধ করতে পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা থেকে এমসিকিউ (নৈব্যক্তিক) প্রশ্ন তুলে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা থেকে এমসিকিউ প্রশ্নের পরিবর্তে ছোট-বড় প্রশ্ন তুলে দেয়া হবে। দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তির ফল ঘোষণাকালে মন্ত্রী বলেন, এবার মেধা ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে সারাদেশে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হবে। পঞ্চম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা পিইসি-ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর মূল্যায়ন করে এসব বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) বৃত্তি পাবে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পাবে সাড়ে ৪৯ হাজার। মেধা কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা এবং আর সাধারণ কোটায় ২২৫ টাকা করে বৃত্তির অর্থ পাবে।

তিনি বলেন, সাধারণ কোটায় ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ছয়টি করে বৃত্তি দেয়া হবে। এর মধ্যে তিনজন ছাত্রী ও তিনজন ছাত্র। এছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে বৃত্তি প্রদানের পর অবশিষ্ট বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলায় বা থানায় দুই জন ছাত্র ও দুই জন ছাত্রীকে বৃত্তি দেয়া হবে।

প্রতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগ হতে তিনটি করে ২৪টি সাধারণ বৃত্তি প্রদানের পর চারটি সাধারণ বৃত্তি সংরক্ষণ করা হবে।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। পরের বছর ইবতেদায়ির শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়। উভয় সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষার পরিবর্তে সমাপনীতে অংশগ্রহণকারীদের মেধা তালিকা করে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়।

উল্লেখ্য, এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয় ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৭১ জন। অপর দিকে ইবতেদায়ীতে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৯ জন অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয় দুই লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৪ জন। পাসের হার ছিলো ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় প্রাথমিকে পাসের হার কমে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ইবতেদায়িতে কমে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত বছর প্রাথমিকে পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ৫১ ও ইবতেদায়িতে ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। দুটি পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার ২১৪ জন জিপিএ-৫ কম পায়।

এর আগে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে চলতি বছরের ১ ফ্রেবুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়।

(Visited ৭ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি