বরগুনায় সিআইডির এক ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে আসামি নির্যাতনের পাশাপাশি, আসামির স্ত্রীকে যৌন নির্যাতন ও এক লাখ টাকা উৎকোচ দাবির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুর দুইটার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী গৃহবধূ মোসাম্মত লাভলী জানান, তার স্বামী মো. শহিদুল ইসলাম স্থানীয় ক্রোক শাহ কারামতিয়া মাদ্রাসার দপ্তরি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সালের একটি হত্যা মামলায় (জিআর ৪৪৫/১১ (বর) থাকার কারণে শনিবার (২৪ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিআইডি ইন্সপেক্টর মো. সিরাজ উদ্দিন (বিপি নং- ৬৭৯১০০৬১৬৬) তার স্বামীকে ফোন করে মাদ্রাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান।
ফোন পেয়ে মো. শহিদুল ইসলাম উপস্থিত হলে হাতকড়া লাগিয়ে তাকে রাতভর নির্যাতন করে সিআইডি ইন্সপেক্টর সিরাজ উদ্দিন। এসময় ২০১১ সালের ওই মামলায় আলাউদ্দিন ওরফে অরুণ নামের স্থানীয় একজনকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিতে বলেন সিআইডি ইন্সপেক্টর। পরের দিন রবিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় তার স্বামীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আদালতে হাজির করে রিম্যান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত ৮ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন। নির্যাতনে শহিদুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ বলেও জানান ভুক্তভোগী ওই স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, রবিবার দুপুরে ননদ ও এক দেবরের স্ত্রীসহ সিআইডি পুলিশের কার্যালয়ে স্বামীর সাথে দেখা করতে যান তিনি। সেসময় তাকে একাকী একটি কক্ষে নিয়ে দরজাবন্ধ করে যৌন হয়রানি করেন সিআইড ইন্সপেক্টর। একই সময়ে একলাখ টাকা উৎকোচ দাবি করে জিআর ৪৪৫/১১ (বর) মামলায় তার স্বামীকে তাদের (পুলিশের) শেখানো স্বীকারোক্তি দিতে পরামর্শ দেয় সিরাজ উদ্দিন। অন্যথায় তাকে এবং তার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
সিআইডি ইন্সপেক্টর মো. সিরাজ উদ্দিন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০১১ সালের একটি হত্যা মামলার তদন্তে শহিদুল ইসলামের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সে কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটিকে আড়াল করতে শহিদুলের পরিবার মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
তবে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমেদ জানান, এক গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলনের কথা তিনি শুনেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।