ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্ক থেকে ৬০ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটেনে সাবেক একজন রুশ এজেন্ট ও তার মেয়েকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এ আদেশ দেন ট্রাম্প। এ ঘটনায় সিয়াটলের রুশ কনস্যুলেট বন্ধেরও আদেশ দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৪টি দেশ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছে। জার্মানি, ফ্রান্স ও পোল্যান্ডও চারজন করে রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করছে। যুক্তরাষ্ট্রে যে ৬০ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হচ্ছে, তাদের ৪৮ জন রুশ দূতাবাসে কাজ করেন। বাকিরা নিউইয়র্কে জাতিসংঘে রুশ দূতাবাসে রয়েছেন।
ইউক্রেন জানিয়েছে, ব্রিটেনের প্রতি সমর্থন জানাতে তারা ১৩ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করছে।
এ ঘটনায় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, বিকৃত ব্যাখ্যার ওপর ভর করে তারা ব্রিটেনকে এভাবে সমর্থন করছে।
তিন সপ্তাহ আগে ব্রিটেনে সাবেক রুশ ডাবল এজেন্ট সেরগেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে উইলিয়াম স্ক্রিপালের ওপর নার্ভ এজেন্ট দিয়ে যে আক্রমণ হয়- তার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে সমন্বিতভাবে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাশিয়া সবসময় ব্রিটেনে ওই হত্যা চেষ্টার কথা অস্বীকার করেছে। কিন্তু আমেরিকাসহ পশ্চিমা মিত্ররা ব্রিটেনের অভিযোগকে সত্য হিসেবে গ্রহণ করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪ মার্চ স্যালসবেরিতে রুশ মিলিটারি গ্রেড নার্ভ এজেন্ট দিয়ে সাবেক একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর ও তার মেয়েকে হত্যার চেষ্টা করে। একটি মিত্র দেশ ব্রিটেনে এই হামলা সেখানকার বহু নিরপরাধ মানুষের জীবন হুমকিতে ফেলে দিয়েছে।
ওই হামলা রাসায়নিক অস্ত্রবিরোধী চুক্তি ভঙ্গের একটি নজির বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স