মঙ্গলবার , ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

ফখরুলের বক্তব্য স্ববিরোধী : ওবায়দুল কাদের।।

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
জানুয়ারি ২৪, ২০১৭ ৩:৩৯ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্কঃ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের রবিবারের বক্তব্য স্ববিরোধী উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমি অবাক হয়েছি গতকাল মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য শুনে। মির্জা ফখরুল সাহেব স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্য একেবারেই স্ববিরোধী।’ একইসঙ্গে রাজনীতিটাকে ইতিবাচক ধারায় নিয়ে আসার জন্য ফখরুলের প্রতি আহ্বান জানান কাদের।

তিনি বলেন, ‘কি বললেন তিনি! বললেন, রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপি প্রস্তাব পাঠিয়েছে একজন ব্যক্তির নাম উদ্ধৃত করে। এটা বঙ্গভবনের সাথে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের যোগসাজস এবং এটা গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করছেন। আবার তিনি বললেন, তিনি বলছেন আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে কে এম হাসানের (সাবেক প্রধান বিচারপতি) পাঠায়নি। ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না। ঠিক আছে, আপনি একদিকে বলছেন গোপানীয়তা ভঙ্গ হয়েছে, আরেকদিকে বলছেন, নাম পাঠাননি। তাহলে তার এই বক্তব্য স্ববিরোধী।’

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পুরান ঢাকার হোসেনী দালানে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মহাফিলের আয়োজন করে।

সাবেক বিচারপতি কে এম হাসানের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপি প্রস্তাব করেছে। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের যোগসাজস আছে।’ এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

আসলে মির্জা ফখরুল কথার ফাঁদে আটকে গেছেন উল্লেখ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির গোপন কথা জানতে হলে বঙ্গবভনের সঙ্গে যোগসাজস থাকতে হবে! বিএনপি গোপন কথা জানতে হলে বিএনপিই যথেষ্ট। যাদেরকে নিয়ে সংলাপে গেলেন তাদেরকে কী মির্জা ফখরুল সাহেব সবাইকে বিশ্বাস করেন? করেন বিশ্বাস। অনেকের মামলা আছে তো, জেল জুলুমের ভয়ে গোয়েন্দাদের কাছে ঘরের কথা পরকে বলে দেন। এই সূত্র অনেকেই জানে আপনাদের। আমার কেন বলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম আমাদের এ বিষয়ে দলের লোক থাকে না। বিএনপির ইতিহাস বলে সকল সাংবিধানিক পদে বিএনপির দলের লোক নিয়োগ দেওয়ার জন্য। মনে আছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজ সাহেবের কথা। তিনি আজ বেঁচে নেই, মৃত ব্যক্তির নামে খারাপ কথা বলতে চাই না। এম এ আজিজ সাহেব বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তখন কে এম হাসানের কথা বলা হয়েছিল। তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তার নাম প্রধান উপদেষ্টা বানানোর জন্য বিচারপ্রতিদের বয়স ৬৫ থেকে ৬৭ বছরে নিয়ে গিয়েছিল। এতো পেয়োরের লোক বেঁচে থাকতে তাদের পছন্দে থাকবে না এটাও কী হতে পারে!’

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনার দলের লোক আপনার অফিসে একজন আরেকজনকে সরকারের দালাল বলেন। আগে নিজেরা নিজেদের বিশ্বাস করুন। রাজনীতিটাকে ইতিবাচক ধারায় নিয়ে আসুন।’

তিনি বলেন, আমি রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছি আওয়ামী লীগের লোক এসব সাংবিধানিক পদে চাই না। আওয়ামী লীগের লোক সার্চ কমিটিতেও চাই না, নির্বাচন কমিশনেও চাই না। আমরা বলেছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারেন। এটা সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাঁচলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ টিকে থাকবে। দেশের উন্নয়ন হবে। বেশি নেতার প্রয়োজন নেই, কর্মী বৃদ্ধি করুন। যেসব নেতারা অভিমান করে ঘরে বসে আছেন, তাদেরকে দলে ভিড়ান। এখন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ শুরু করুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করছেন, প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্প হাতে নেন, তা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ করেন। আপনারা দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন। আপনাদের কাজ জনগণের সঙ্গে থাকা, মাটির সঙ্গে থাকা। ভালো আচরণ করা। ক্ষমতা চিরদিন থাকবে না।

এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের দুই সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও সাদেক খানকে নগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

এমএ আজিজের স্মৃতিচারণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সচিবালয়ে ঘুর-ঘুর করে না। তিনি এম এ আজিজ দলের দুঃসময়ে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করেছেন। নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তিনি রাজনীতি করেছেন। নিজেকে নেতা ভাবতেন না, কর্মী ভাবতেন। তার নীতি ও আদর্শ আমাদের অনুসরণ করা প্রয়োজন। রাজনীতিতে এমএ আজিজের কমিটমেন্ট ছিল।

তিনি বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দলে লেগে থাকার বিকল্প নেই। সটকে পড়লে রাজনীতি থেকে পিছিয়ে যেতে হয়। টিকে থাকলে সুফল পাওয়া যায়। এর প্রমাণ আমি নিজে। আমি দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার জীবনের সর্বোচ্চ রাজনীতিক স্বীকৃতি দিয়েছেন। শেখ হাসিনা আছেন, তার রাজনীতি আছে। প্রকৃত নেতাদের অবশ্যই মূল্যায়ন হবে।’

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন – আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, এম এ আজিজ এর ছেলে তামিম, কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

(Visited ২ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত