বরিশাল বিসিসি’র আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করতে হবে।বিগত ২২ মাসের পি এফ এর টাকা জমা দিতে হবে।দৈনিক মজুরী ভিত্তিক শ্রমীকদের বকেয়া বেতন একসাথে পরিশোধ করতে হবে। ২০১৭সালের ২ই এপ্রিল তারিখে সমঝোতা সভার সিদ্বান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।দৈনিক মজুরী ভিত্তিক শ্রমীকদের বেতন সমন্বয় করতে হবে।প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে বেতন পরিশোধ করতে হবে সিটি কর্পোরেশনের বিধি বহির্ভূত সকল অনিয়ম-দূর্নীতি বন্ধ করা সহ ৯ দফা দাবী ১৮ই মার্চের পূর্বে মেনে না নেয়া হলে আগামী ১৮ই মার্চ থেকে নগরীর সকলস্থানে বিদ্যুৎ,পানি ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজ বন্ধ করে দেয়ার মত কঠোর সিদ্বান্ত নিতে বাধ্য হবে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বিসিসি’র আন্দোলনরত বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের নগর ভবন শাখার সাধারন সম্পাদক দিপক লাল মৃধা বলেন।
সোমবার দুপুর ১টায় নগর ভবনের ৩য় তলায় সভা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা রাসেল খান,এ্যাসোসর কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন,মোঃ অহিদুল ইসলাম মুরাদ,একে এম হেলাল উদ্দিন,নুর খান,রেজাউল করীম,শানু জমাদ্দার ও জিয়া উদ্দিন সহ স্থায়ী ও দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীগন।
তারা আরো বলেন ইতিপূর্বে মেয়র আহসান হাবীব কামালের প্রতিধি কাউন্সিলর আলতাফ মাহমুদ সিকদার,কাউন্সিলর জাকির হোসেন জেলাল,কাউন্সিলর আকতারুজ্জামান হিরু,কাউন্সিলর মজিবুর রহমান,কাউন্সিলর মোঃ ইউনুস মিয়া,সংরক্ষিত কাউন্সিলর মোসাাঃ কামরুননাহার রোজি,সংরক্ষিত কাউন্সিলরকহিনুর বেগম ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর রেশমি বেগমের সাথে আন্দোলনরত বিসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে এক সমঝোতা বৈঠকে সিদ্বান্ত হলে উক্ত সিদ্বান্তে ১২ই মার্চের মধ্যে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২ মাসের বকেয়া বেতন ও ৩টি পি এফ প্রদান করা সহ ৯টি বিষয়ের উপর সমঝোতা আলোচনা সম্পূন্ন করা হলে উক্ত সিদ্বন্তের সমঝোতা স্বারকে মেয়র সহ তার কাউন্সিলর প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করতে অপরাগতা প্রকাশ করার ফলে সমঝোতা আলোচনা নিস্ফল হয়ে যায়।কাউন্সিলর প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করতে অপরাগতা প্রকাশ করার ফলে সমঝোতা আলোচনা নিস্ফল হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন গত ২২দিন যাবত আমরা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্ম বিরতি পালনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ন ভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি।
আগামী বুধবার ১৪ই মার্চ থেকে পূর্ন দিবস কর্ম বিরতি পালনের পাশাপাশি নগর ভবনের সকল শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেয়া সহ পানি,বিদ্যুৎ নগর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সেবা বন্ধ করে দেয়ার মত কঠোর সিদ্বান্ত নিতে তারা কোন পিছ পা হবেন না।
বিসিসি’র স্থায়ী ও দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতাদি সহ পি এফ ফান্ডের টাকার দাবীতে কর্ম বিরতি পালন সহ লাগাতার আন্দোলন করে আসছেন।
এসময়ে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর মেয়রের প্রতিনিধি হয়ে এসে সমঝোতার চেষ্ঠা করে কোন সমাধানে আসতে পারেননি তারা।
উল্লেখ্য গত ১৮ই ফেব্রয়ারী থেকে আন্দোলন শুরুর পর থেকে কয়েক দিন মেয়র,নির্বাহী কর্মকর্তা,সচিব সহ কাউন্সিলররা নগর ভবনে তাদের পদচারনা থাকলেও বর্তমানে নগর ভবনে আন্দোলনকারীরা ছাড়া উধ্বর্তোন কর্মকর্তারা নগর ভবনে আসা ছেড়ে দিয়েছে।
ফলে নগর ভবন এখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।