বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার দাবীতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।রোববার (১১ মার্চ) বেলা ১২ টায় নগর ভবনের সামনের সড়কে তারা এ কর্মসূচী পালন করে।আন্দোলনকারীরা জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে ২১ দিন যাবৎ তারা বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার জন্য নগর ভবনের দোতলায় অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের দাবী দাওয়া মেনে নেয়ানি।
এই অবস্থায় আজ তারা কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছে। এরপরও যদি দাবী পূরন না করা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে নামবে তারা।বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের নগর ভবন শাখার সাধারণ সম্পাদক দীপক লাল মৃধা জানান, যদি আজ রোববারেও তাদের বেতন-ভাতা প্রদান না করা হয়। তবে পরবর্তীতে নগরভবনের প্রধান ফটক ও হিসাব শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে।পাশাপাশি কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে নগর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, সড়ক বাতি ও পানির মতো জরুরী সেবা প্রদান করে যাবেন তারা। আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, বিসিসিতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ২ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব শেষ জানুয়ারী মাসে গত বছরের আগস্ট মাসের বেতন পেয়েছেন। সে হিসেবে এখন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৬ মাসের বেতন বকেয়া। অপরদিকে দৈনন্দিন মজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের ৫ মাসের বেতন বকেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রভিডেন্টফান্ডের ২৩ মাসের অর্থ বরাদ্দ হয়ে ব্যাংকে যায়নি। বেতন বকেয়া থাকায় বিসিসি’র কর্মকরতা-কর্মচারীরা এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় তাদের এই আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী নেতারা। এদিকে ২৪ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনকারীদের সাথে বৈঠক হলে তাতে কোন সুরাহা হয়নি। পরবর্তীতে ২৬ ফেব্রুয়ারি মেয়র আহসান হাবিব কামাল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার অবস্থান তুলে ধরেন। পরের দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভা করলেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর চলতি মাসে বেশ কয়েকবার কর্মকর্তা-কর্মচারী মেয়র ও মেয়র প্রতিনিধিদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও কোন সুরাহা হয়নি।মধ্যখানে ৪ মার্চ থেকে কর্মবিরতি ১ ঘন্টা বাড়িয়ে বেলা ২ টা পর্যন্ত পালন করতে শুরু করে তারা।