বিএনপি রাস্তা বন্ধ করে বেআইনিভাবে সমাবেশ করতে যাওয়ায় পুলিশ বাধা দিয়েছে এবং ওই ঘটনার জন্য দলটিই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সংস্কারকাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কোথাও রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করে না। একটি নির্দিষ্ট স্থানে সমাবেশ করা হয়। কিন্তু বিএনপি প্রেসক্লাবের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে যাওয়ায় পুলিশ হস্তক্ষেপ করবেই। কারণ রাস্তা বন্ধ করা বেআইনি। আর পুলিশ কাউকে বেআইনি কাজ করতে দেবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশে মামলার আসামিরা উপস্থিত থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তারা যদি পুলিশের সামনে পড়ে, পুলিশ তো তাদের ছেড়ে দেবে না।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে অনুমতি দেওয়া হয়নি- দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই অভিযোগের ব্যাপারে সেতুমন্ত্রী বলেন, এর আগেও তারা সেখানে সমাবেশ করেছে। অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা পুলিশের। এ ব্যাপারে পুলিশই ভালো জানে। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকা নেই।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পরই সেটা হবে। সিডিউল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনের এ ব্যাপারে করণীয় নেই। নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলা হচ্ছে কি-না, সেটা দেখা অবশ্যই কমিশনের দায়িত্ব। কমিশনের আচরণবিধি মেনেই সব দলকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চালাতে হবে।
এদিন সেতুমন্ত্রী ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের বিভিন্ন পয়েন্টে সংস্কার কাজ ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি জানান, এই সড়ক সংস্কারে ১৮ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সড়ক বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়া হলেও আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই তা শেষ করা হবে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া সারাদেশের সব সড়ক-মহাসড়কগুলোর সংস্কার কাজও বর্ষা মৌসুমের আগে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছি। এর ব্যতিক্রম হলে বা নিম্নমানের কাজ হলে সংশ্নিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রকৌশলী আবদুস সবুর, নারায়ণগঞ্জ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আবদুর রশিদ প্রমুখ।