দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন মাশরাফি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ৪৫তম ম্যাচে এসে আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে আসরের অন্যতম শক্তিশালী দল আবাহনী লিমিটেড। ব্যাট হাতে নাজমুল হোসেন শান্ত’র ঝলকের পর ইনিংসের শেষ ওভারে মাশরাফি মুর্তজার হ্যাটট্রিকসহ টানা চার উইকেটে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ১১ রানের জয় পেয়েছে দলটি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য অগ্রণী ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। ক্রিজে ছিলেন ছন্দে থাকা দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও দিমান ঘোষ। এমতাবস্থায় বোলিংয়ে আসেন মাশরাফি মুর্তজা। নড়াইল এক্সপ্রেসের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে প্রান্ত বদল করে দিমানকে স্ট্রাইক দেন রাজ্জাক। এরপর ম্যাচে চলে শুধুই মাশরাফির রাজত্ব।
টানা চার বলে হ্যাটট্রিকসহ অগ্রণী ব্যাংকের শেষ চার উইকেট (দিমান, রাজ্জাক, শফিউল, ফজলে) নিয়ে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দলকে জয় এনে দেন মাশরাফি মুর্তজা। এরফলে ম্লান হয়ে যায় শাহরিয়া নাফীসের ১১৯ বলে ১৩ চার আর ৩ ছয়ে খেলা ১২১ রানের দূর্দান্ত ইনিংসের সাথে শেষ দিকে দিমানের আশা জাগানো ২৭ বলের ঝড়ো ৪৬ রানের ইনিংস।
মাশরাফি তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড অগ্রণী ব্যাংক ইনিংসের এক বল বাকি থাকতেই অল-আউট হয় ২৭৯ রানে। দলটির পক্ষে অর্ধশতকের মুখ দেখে রাজা আলী ধার খেলেন ৬২ রানের ইনিংস। আবাহনীর বোলারদের মধ্যে ৪৪ রান দিয়ে মাশরাফি ৬টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া আরিফুল হাসান নেন দুটি উইকেট।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া আবাহনী লিমিটেড নাজমুল হোসেন শান্ত’র শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৯০ রান তুলে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩৩ রান আসে শান্ত’র ব্যাট থেকে। ১২৩ বল মোকাবেলা করে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা এ ব্যাটসম্যান তার ইনিংস সাজান ১১ চার আর ৩ ছয়ে।
শান্ত’র সাথে আবাহনীকে লড়াকু পুঁজি এনে দেওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৬, অধিনায়ক নাসিরের ২৫ ছাড়া দুই ওপেনার সাইফ হাসানের ২৪ ও এনামুল হকের ২৩ রান। অগ্রণী ব্যাংকের বোলারদের মধ্যে ৪০ রান দিয়ে সালমান হোসেন দুটি ও আল-আমিন হোসেন ৫৫ রানে নেন দুটি উইকেট।