ভয়ঙ্কর তুষারপাতের শিকার ইউরোপবাসী। টানা কয়েকদিন ধরে ইউরোপের এক বিশাল অংশ ঢাকা পড়ে আছে তুষারের নিচে। ভারী তুষারপাত ও তুষারঝড়ে পুরো ইউরোপজুড়ে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫৫ জন। এর মধ্যে শুধু পোল্যান্ডেই নিহত হয়েছেন ২১ জন। অল্প সময়ের ব্যবধানে মৃতের সংখ্যা এত দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দরিদ্র জনগষ্ঠীকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই তুষারঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দরিদ্ররা।
বিশেষ করে, গৃহহীন ও অভিবাসীরা। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি আরো বলেছে, ঠান্ডা-জনিত অসুখে ভোগার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন বৃদ্ধ, শিশু ও বহুদিন ধরে অসুখে ভুগছেন বা শারীরিক অথবা মানসিক প্রতিবন্ধকতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি ও বিবিসি।
খবরে বলা হয়, ইউরোপের এই আবহাওয়া এক এক জায়গায় এক এক নামে পরিচিতি লাভ করেছে। যুক্তরাজ্যে এই প্রানঘাতী আবহাওয়াকে ডাকা হচ্ছে, ‘দ্য বিস্ট ফ্রম দ্য ইস্ট’ নামে; ডাচ’রা এর নাম দিয়েছে ‘সাইবেরিয়ান বিয়ার’ আর সুইডিশরা একে আখ্যায়িত করেছে ‘স্নো ক্যানন’ হিসেবে। বছরের এই সময়ে ইউরোপে এমন আবহাওয়া বিরল। ভারী তুষারপাতে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক রাস্তা, রেল সেবা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। বাতিল করে দিতে হয়েছে কয়েক’শ ফ্লাইট। এই আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে পোল্যান্ডের জনগণ। ইতিমধ্যে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন। এদিকে, ডাবলিন বিমানবন্দর কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার পর্যন্ত এমন অবস্থায়ই থাকবে বিমানবন্দরটি। সুইডেনের জেনেভা বিমানবন্দরও বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়াজনিত কারণে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।