বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পের প্রথম ভাগ শেষ হচ্ছে বুধবার। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপিতে ১৫ দিনের আবাসিক ক্যাম্প শেষে কাতারের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে মামুনুলরা।
জাতীয় দলের মোড়কে তারুণ্যনির্ভর একটি দল আবাহনীর বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে গতকাল। যেখানে চার গোল হজম করেছে কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডের জাতীয় দল।
তবে কোচ মনে করেন এটা একটা প্রক্রিয়ার অংশ। তিনি বলেন, সাধারণত ম্যাচের আগে এমন টানা অনুশীলন বা ফিটনের ট্রেনিং হয়না। ফুটবলাররা যথাযথ বিশ্রাম নিয়ে ম্যাচ খেলে থাকে। আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে যথেষ্ট বিশ্রাম পায়নি।
অ্যান্ড্রু ওর্ড বলেন, “দেখুন আবাহনী দলটা জয়ের ধারায় আছে। ওরা অভিজ্ঞও অনেক বেশি। আমরা যে দল খেলিয়েছি সেখানে অধিকাংশই অনুর্ধ্ব ২৩ দলের। তাই এই হারে সমালোচনার কিছু নেই।”
কাতার থেকে ফেরার পর দলের সঙ্গে যোগ দিবে ঢাকা আবাহনীর কয়েকজন অভিজ্ঞ ও তরুণ খেলোয়াড়। সবমিলে পরিণত হতে আরও সময় দরকার ফুটবল দলটার। এমন মত দিয়েছেন অ্যান্ড্রু ওর্ড।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, কাতারে আয়োজিত বিশেষ ক্যাম্পে উন্নতমানের ট্রেনিং সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন অনেক ইউরোপীয়ান দল কাতারে ছোট ছোট ক্যাম্প করে।
তিনি বলেন, “আমাদের মত দেশে অনেক সুযো-সুবিধা চাইলেও দেয়া যায়না। তাই কাতারকে বেছে নেয়া হয়েছে।”
বুধবার দুপুর তিনটায় ঢাকা ছাড়বে খেলোয়াড়-কোচ-কর্মকর্তা নিয়ে ৩২ জনের একটি দল। তার মধ্যে খেলোয়াড় ২৪ জন। ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩৫ ফুটবলারদের মধ্যে ইনজুরি, অসুস্থতা আর পারফরম্যান্সের ভিত্তিকে বাদ পড়েছেন নয়জন ফুটবলার। তারা হলেন- জাহিদ হোসেইন, মতিন মিয়া, জুয়েল, জাহিদ খান, জাবেদ, ফজলে রাব্বি, হেমন্ত ভিনসেন্ট, আরিফ, মিতুল ও তকলিস।
ঢাকা আবাহনীর কিছু খেলোয়াড়কে যোগ করে ২৩ জনের একটি দল করে ক্যাম্পে রাখা হবে সাফ ও এশিয়ান গেমসের জন্য প্রস্তুত করতে। এই দলটিই প্রতিনিধিত্ব করবে।
২৫শে মার্চ লাওসের উদ্দেশে রওনা দিবে দল। ২৭ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ মাস পরে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
তারপরেই এশিয়ান গেমস আর সাফ আছে। মূলত দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপকে লক্ষ্য রেখেই এই ক্যাম্প করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মি. সোহাগ।