গত বছরের নভেম্বর মাসে অনূর্ধ্ব-২৩ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের একটি ম্যাচে ইরানের আলিরেজা কারিমাশিয়ানি রাশিয়ার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকার পরও হেরে যান তিনি। কারণ এ ম্যাচে জয়লাভ করলে পরের ম্যাচে ইসরাইলের মুখোমুখি হতে হবে। প্রতিটি ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যে হলেও ম্যাচে স্বয়ং কোচের কথায় ম্যাচ হেরে গেছেন একুস্তীগির। যার কারণে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন তিনি।
ইরান ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি এবং দেশটির কর্তৃপক্ষ ইসরাইলের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে ইরানের খেলোয়াড়দের লড়াই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যার কারণে ম্যাচে হেরে যাওয়ায় রেসলিংয়ের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইরানের ঐ খেলোয়াড়কে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।
ইরানের রেসলিং ফেডারেশন বলেছে, তারা কারিমাশিয়ানিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবে। ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং ডিসিপ্লিনারি চেম্বারের ঘোষণায় বলা হয়, ‘কারিমাশিয়ানি তার কোচের নির্দেশে ইচ্ছাকৃত আলিখান জাব্রিলভের বিরদ্ধে ১/৮ ফাইনাল ম্যাচে হেরে গিয়েছিল। খেলোয়াড় ও কোচ উভয়েই রেসলিংয়ের আন্তর্জাতিক নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। ‘
২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে কারিমাশিয়ানি কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না। তার কোচ হামিদরেজা জামশিদি ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবেন।
২০১৭ সালের নভেম্বরে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে কারিমাশিয়ানি ৩-২ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। জিতলে পরের রাউন্ডে তাকে ইউরি কালাশনিকভের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হতো। ম্যাচের ভিডিও ফুটেজে শোনা যায় কেউ একজন তাকে চিৎকার করে হেরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। এরপর একটি ছোট্ট বিরতি নিয়ে খেলোয়াড় ও কোচ পরামর্শ করেন।
শেষ ৪৫ সেকেন্ডে কারিমাশিয়ানিকে মেঝেতে ফেলে দেয়ার পর তিনি শুধু শুয়ে গড়াতে থাকেন, যার ফলে তার প্রতিপক্ষ ১৪-৩ পয়েন্টে জিতে যায়। ম্যাচের পর ঘটনাটি নিয়ে টুইটারে ‘হেরে যাও আলিরেজা’, ‘আমি তোমাকে হারতে বলছি’, ‘তোমাকে হারতেই হবে’ এসব হ্যাশট্যাগ ভাইরাল হয়ে পড়ে।