পাকিস্তানে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত এ রায় দেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক ধারায় চারটি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জরিমানা ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশও দিয়েছেন আদালত।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ইমরান আলী (২৪)। গত মাসের শুরুর দিকে কাসুর শহরে ৮ বছরের শিশু জয়নাব আনসারিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। জয়নাবকে হত্যার অভিযোগে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যা ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়। আদালত এই চারটি ধারায় পৃথকভাবে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া সমকামিতার অভিযোগে জরিমানার সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ পাবেন ইমরান আলী।
গত ৪ জানুয়ারি কাসুরে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় জয়নাব। ৯ জানুয়ারি একটি ময়লার স্তূপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাকিস্তানজুড়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ডিএনএ নমুনার পরীক্ষায় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ইমরানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তারের পর অপরাধ স্বীকারও করেন ইমরান। এরপর তাঁর পক্ষের আইনজীবী আইনি লড়াই থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছিল। জয়নাবের বাবা মুহাম্মদ আমিন বলেছিলেন, ঘটনার পর দুবার তাঁরা ইমরানকে ধরে পুলিশে দিলেও প্রাথমিকভাবে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে অবশ্য সরকার দাবি করে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতার কারণেই ইমরানকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। শনিবার রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জয়নাবের বাবা। তবে রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।