দুই বখাটের অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে ফেলায় পরিকল্পিতভাবে শর্ট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র পুত্রকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই ঘাতকরা কৌশলে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর কারনে হত্যার বিচার পায়নি একাত্তরের রণাঙ্গন কাঁপানো গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। কয়েকদিন পূর্বে বিদেশ থেকে এক ঘাতক দেশে ফিরে থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অব্যাহত হুমকির মুখে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত হারুন-অর রশিদের পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন। এ ঘটনায় তারা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তকে্ষেপ কামনা করেন। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার পূর্ব শরিফাবাদ গ্রামের। মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূ আইরিন আক্তার দিশা বলেন, একই গ্রামের রাধেশ্যাম বিশ্বাসের পুত্র তপন বিশ্বাস ও লাল মিয়া হাওলাদারের বখাটে পুত্র জসিম হাওলাদারের অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে ফেলায় তারা আমার স্বামী ইমরান হোসেন লালনকে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের শর্ট দিয়ে হত্যা করে। দিশা আরও বলেন, লালনকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার দীর্ঘÿন পর তার (লালন) মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তারা জসিম ও তপনের কাছে লালনের খোঁজ করতে যায়। এসময় তারা নানা তালবাহানা শুরু করে।
এরপর বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজির পর তপন বিশ্বাসের মাছের ঘেরের পাশের ধান ÿেত থেকে লালনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই ঘাতক জসিম হাওলাদার পালিয়ে
সৌদিতে ও তপন বিশ্বাস পালিয়ে ভারতে পাড়ি জমায়। দিশা অভিযোগ করেন, পুলিশকে মোটা অংকের দিয়ে
ঘাতকরা ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। ফলশ্রæতিতে গত কয়েকদিন পূর্বে ঘাতক জসিম হাওলাদার
দেশে ফিরে থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। ফলে স্বামী হত্যার বিচার না পেয়ে এখন নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।