নাগরিক উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে বরিশালের চারণ দার্শনিক আরজ আলী স্মৃতি জাদুঘর ও লাইব্রেরী কমপ্লেক্স। এই স্মৃতি রক্ষার অন্যতম পুরোধর হচ্ছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন। এ লক্ষে গতকাল বুধবার বরিশাল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বশিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর প্রয়াত হয়েছেন ৩২ বছর আগে।
মায়ের মৃত্যু-পরবর্তী ঘটনার মধ্য দিয়ে তার যে চেতনার উন্মেষ ঘটে তার বরাতে আজীবন সত্য সন্ধানে নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন। সমাজ ও মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক চেতনার আলোকে সমৃদ্ধ করার আহবান জানিয়ে গেছেন তার জীবন জিজ্ঞাসার মাধ্যমে। আজ পর্যন্ত আমাদের পশ্চাৎপদ সমাজের জন্য আরজ আলী মাতুব্বরের দার্শনিক তত্ত্ব অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
আরজ আলীর স্মৃতি সংরক্ষণ ও সজীব রাখতে এবং তার দর্শন চর্চাকে বেগবান করার জন্য তার বসতবাটি এবং তার প্রতিষ্ঠিত আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরি নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এর লক্ষে ১৯৭ শতাংশ জমির উপর প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণের নকশা প্রস্তাব করছে জনবিজ্ঞান ফাউন্ডেশন। সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, নাগরিক সমাজ, শিল্প প্রতিষ্ঠান, ধনাঢ্য ব্যক্তি, গণমাধ্যম এবং আরজ আলী মাতুব্বর-এর উত্তরসূরী ও স্বজনেরা সবাই মিলে সচেষ্ট করলে “আরজ আলী মাতুব্বর স্মৃতি জাদুঘর ও লাইব্রেরি কমপ্লেক্স”টি নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
এ উদ্যোগের আরো একজন পুরোধর হচ্ছেন আরজ আলী গবেষক বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক আইয়ুব হোসেন। “আরজ আলী মাতুব্বর স্মৃতি জাদুঘর ও লাইব্রেরি কমপ্লেক্স”টির প্রস্তাবিত নকশাটি প্রণয়ন করেছেন স্থপতি তারিকুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে আরজ আলী ট্রাষ্টি বোর্ডটিকে আবার নতুন করে গঠনের প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি আরজ আলী মাতুব্বরের বই এর রয়েলেটি পাওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জনবিজ্ঞান ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, সাংবাদিক আলম রায়হান, দেবাশীষ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।