প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পেলেন চলচ্চিত্রের গুণী নির্মাতা কাজী হায়াৎ ও অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা।
অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা দীর্ঘদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছেন। সিনেমায় অভিনয়ও করতে পারছেন না। উন্নত চিকিৎসার ব্যয়ভার তিনি বহন করতে পারছিলেন না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্য কামনা করেছিলেন। অবেশেষে সাড়া পেলেন তিনি।
কাজী হায়াৎও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন। তিনি হƒদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের চিকিৎসার জন্য শুক্রবার গণভবনে দুইজনের হাতেই ১০ লাখ টাকা করে প্রধানমন্ত্রী নিজে আর্থিক অনুদানের অর্থ তুলে দেন।
অনুদান পেয়ে উচ্ছ্বসিত কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিলাম। আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আমাদের আরেক সহযোদ্ধা খালেদা আক্তার কল্পনাকেও সাহায্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দলমত-নির্বিশেষে সাহায্য করে থাকেন। তিনি দেশের সত্যিকারের অভিভাবক।’
খালেদা আক্তার কল্পনা বলেন, ‘রেটিনায় রক্তপাত আর কর্নিয়ার আলসার থেকে ইনফেকশন হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে আমার। শুধু বাম চোখে দেখতে পাচ্ছি। ঢাকায় চিকিৎসা নেয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই থেকে ছানি অপারেশনও করিয়েছি তিনবার। এরপর চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে প্রতি চার মাস পর চিকিৎসা করালেও ডায়াবেটিস থাকায় এ চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। যেটি ব্যয়ভার বহন করতে পারছিলাম না। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য কামনা করি। তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ।’
উল্লেখ্য, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বর্ণিল ক্যারিয়ারে শতাধিক নাটকেও অভিনয় করেছেন। জীবন সায়াহ্নে এসে গুণী এ অভিনেত্রী এখন বেকার! তার হাতে কোনো কাজ নেই। শুধু তাই নয়, অসুস্থ হয়ে বাসায় দিন পার করছেন।
অন্যদিকে মাঝে মাঝে সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেলেও এখন তেমন একটা দেখা যায় না কাজী হায়াৎকেও। নির্মাণেও নেই।