রির্পোটঃ ডেস্ক নিউজ.
বিএনপি আন্দোলনে নামলে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে বলে জানিয়েছেন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা চালালে ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপের পর নিরপেক্ষ ইসি গঠনে ফয়সালা না হলে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের দেওয়া আন্দোলনের হুমকি উড়িয়ে কাদের বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন করলেও এখন ‘সহায়ক সরকার’র কথা বলছে তারা।’
নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘দেশের মানুষের অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না আন্দোলন করা ছাড়া। সেই আন্দোলনের মধ্যেই তখন এই সমস্যার সমাধান আমাদের আনতে হবে। আমরা চাই না ততটুকু যেতে। আমরা মনে করি সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’
বিএনপির উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে এখন একদল আরেকদলকে বলে সরকারের দালাল। তারা আগে নিজেরা এক হোক। কমিটির ৫৯৬ জন আগে মাঠে নামুক।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন হলে ভালো। অনেকদিন মওদুদ সাহেবকে রাজপথে দেখা যায় না। আগে তিনি মাঠে নামুন। তারপর, তাদের আন্দোলন আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।’
আন্দোলনের নামে বিগত কয়েক বছরের বিএনপির সহিংসতার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইতোপূর্বে আপনারা দেখেছেন, আন্দোলনের নামে তারা সহিংসতা করেছে। জনগণ তাদের মোকাবেলা করেছে। এবার আন্দোলনের নামে সহিংসতা করা হলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলে আসছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষে নির্ধারিত সময়ে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে।
সরকারের তিন বছর পূর্তিতে গত ১২ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই কথা বলেন। রাষ্ট্রপতির সংলাপের মধ্য দিয়ে গঠিতব্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দলকে পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।