চতুর্থ দিনের ইনিংস শেষে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল বাংলাদেশ। কেননা শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস থেকে অনেকটা ব্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি আর লিটন দাসের ৯৪ রানে ভর করে দাপটের সঙ্গেই চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র করেছে টাইগাররা।
এর আগে চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ওপেনিংয়ে নামেন তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। দলীয় ৫২ রানের মাথায় দিলরুয়ান পেরেরার বলে চান্ডিমালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ৪৮ বলে ১৯ রান করা ইমরুল কায়েস। এরপর সান্দাকানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৬২ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তামিম। দলীয় ৮১ রানে হেরাথের বলে মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন ২ রান করা মুশফিক। এরপরই শেষ হয় চতুর্থ দিনের খেলা।
এরপর পঞ্চম দিনে লিটন দাসের সঙ্গে ১৮০ রানের জুটি গড়ে ১৭৪ বলে ব্যক্তিগত ১০৫ রান করে আউট হন মুমিনুল। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে এক টেস্টে ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি তোলেন মুমিনুল। দলীয় ২৭৯ রানে হেরাথের বলে পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে প্রথম সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও ৯৪ রানে বিদায় নেন লিটন।
ইতিহাস সৃষ্টি করে ম্যাচ সেরা হলেন টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হক। একে টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। পাশাপাশি এক ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডও গড়েছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। তার সংগ্রহ দুই ইনিংসে ২৮৫ রান।
প্রথম ইনিংসে তার সংগ্রহ ছিল ১৭৬ রান। ১৬ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় দুর্দান্ত এই ইনিংস খেলেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেছেন ১০৯ রান। ছয় বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় অনবদ্য এই ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি।
সেই অর্জনে মুমিনুল পুরস্কৃত হলেন ম্যাচ সেরার খেতাব পেয়ে।