সোমবার , ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

ভারতে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষ, নিহত ১

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
জানুয়ারি ২৯, ২০১৮ ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ভারতে উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জে কারা আগে রাস্তার দখল পাবে, এরকম একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে, পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন জনা পঞ্চাশেক।

ওই এলাকায় এখনো তীব্র উত্তেজনা রয়েছে, জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের একটা বিস্তীর্ণ অংশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে।

২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে বিজেপি-র একটি মোটরবাইক মিছিল আগে রাস্তা দিয়ে যাবে, না কি এলাকার মুসলিমরা রাস্তায় মঞ্চ করে আগে জাতীয় পতাকা তুলবেন – তাই নিয়েই এই বিরোধের সূত্রপাত বলে জানা যাচ্ছে।

সে দিন কাসগঞ্জে শাসক দল বিজেপির ছাত্র শাখা ‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ’ ও কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদে’র কর্মীরা যৌথভাবে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ নামে একটি মোটরবাইক র‍্যালির ডাক দিয়েছিলেন।

কিন্তু সেই বাইক মিছিল যখন কাসগঞ্জের মুসলিম-অধ্যুষিত বদ্দুনগর এলাকা দিয়ে যাচ্ছে, তখন তারা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় চেয়ার পেতে সেখানে ছোটখাটো একটি অনুষ্ঠান করে ভারতের জাতীয় পতাকা তোলার তোড়জোড় করছেন।

বদ্দুনগরের বাসিন্দা মোহম্মদ মুনাজির রফি ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ পত্রিকাকে জানিয়েছেন, “আমরা মিছিলের লোকজনকে অনুরোধ করি আমাদের অনুষ্ঠানটা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর। কিন্তু ওরা জেদ ধরে থাকে ওদের আগে যেতে দিতে হবে – এবং তারপর শ্লোগান দিতে শুরু করে দেয়।”

একটু পরেই সেই বিবাদ হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কিতে রূপ নেয়। বাইক-মিছিলের লোকজন তখনকার মতো ফিরে গেলেও খানিক বাদে তারা কাছেই আরো একটি মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় দ্বিগুণ শক্তিতে ফিরে আসে।

কাসগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পবিত্র মোহন ত্রিপাঠিী জানিয়েছেন, “ওই এলাকার মুসলিমরা ধরে নেন তাদের ওপর বদলা নিতেই এরা হামলা চালাতে এসেছে। তখনই কেউ গুলি চালালে ২৮ বছর বয়সী চন্দন গুপ্তা নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।”

চন্দন গুপ্তার অন্তিম সৎকার সেরে ফেরার সময় শনিবার ক্ষুব্ধ জনতা নতুন করে বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায় ও ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে।

কাসগঞ্জ জেলার নাদরি ও চুঙ্গি গ্রামের দুটি আলাদা ঘটনায় তিনটি গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। পুলিশ এরপরই ব্যাপক অভিযান চালিয়ে অন্তত ৪৯ জন হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে।

কাসগঞ্জ জেলা যে আলিগড় ডিভিশনে পড়ছে, তার বিভাগীয় কমিশনার এস সি শর্মা বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন সাম্প্রদায়িক হামলা ঠেকানোর জন্য পুলিশ ও প্রশাসন চূড়ান্ত সতর্কাবস্থায় রয়েছে।

এদিকে স্থানীয় বিজেপি এমপি রাজবীর সিং ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকাকে জানিয়েছেন, “শুক্রবারের হামলা ছিল বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওপর একটা পরিকল্পিত আক্রমণ। রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে অ্যাসিডের বোতল ও ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়েছে, খুব কাছ থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়েছে।”

শুক্রবারের সংঘর্ষে নিহত যুবক চন্দন গুপ্তার বাবা সুশীল গুপ্তা আবার দাবি করেছেন, তার ছেলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলতে অস্বীকার করাতেই তাকে গুলি করা হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, “চন্দনকে ওরা আটকায়, আর বলতে বলে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ, হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’। ও যখন কিছুতেই বলতে রাজি হয়নি, তখনই ওকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়।”

(Visited ১৬ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত