বৃহস্পতিবার , ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

নেইমারের চার গোল ,মেসির পেনাল্টি মিসে বার্সার পরাজয়

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
জানুয়ারি ১৮, ২০১৮ ৮:৩৫ অপরাহ্ণ

লীগ ওয়ানের টেবিলের মাঝামাঝিতে থাকা ডিওনকে ৮-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই। টেবিলের শীর্ষে থাকা পিএসজির হয়ে চার গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। অন্যদিকে দলের আরেক তারকা এডিনসন কাভানি এক গোল করে ক্লাবের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে থাকা জালাটান ইব্রাহিমোভিচের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। তবে ম্যাচে ভূমিকা রাখা এই দুই তারকা ফুটবলার আবারো বিবাদে জড়িয়েছেন।

ঘরের মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে ১৫ মিনিটের মধ্যে এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার দুই গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। এরপর আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডের ক্রসে ২১ মিনিটে কাভানি দলের পক্ষে তৃতীয় গোল করেন। এই গোলের মাধ্যমেই কাভানি ইব্রাহিমোভিচের ১৫৬তম গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেন। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা নেইমার বিরতির আগে দলকে চতুর্থ গোল উপহার দের। এরপর ৫৭ ও ৭৩ মিনিটে পরপর দুই গোল করে নেইমার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি স্বাগতিকদের বড় জয় নিশ্চিত করেন। ৭৭ মিনিটে কাইলিয়ান এমবাপ্পের গোলের পরে ৮৩ মিনিটে স্পট কিক থেকে ডিওনের জালে শেষ বলটি প্রবেশ করান নেইমার। যদিও পেনাল্টি শটটি কাভানি নিলে নতুন এক রেকর্ডের মালিক হতেন উরুগুয়ের এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার। তার পরিবর্তে নেইমার শটটি নিয়ে তা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

ম্যাচ শেষে পিএসজির কোচ উনাই এমেরি বলেছেন, কাভানি আমাদের মূল স্ট্রাইকার। আজও সে দারুণ খেলেছে। ব্যক্তিগত এই রেকর্ড স্পর্শে পুরো দলই তাকে সহযোগিতা করেছে। আমি মনে করি নেইমার যে পেনাল্টি শটটি নিয়ে তাতে দোষের কিছু নেই, সেও আজ ভাল খেলেছে। আমরা সবাই খুশি। তবে ওই পেনাল্টি ছাড়াও কাভানির সামনে গোলের অনেক সুযোগই এসেছিল।

নানটেসের বিপক্ষে রোববার ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচে একমাত্র গোল করা ডি মারিয়া মাত্র ৪ মিনিটেই বাম পায়ের দুর্দান্ত শটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। ১৫ মিনিটে কাভানির বাড়িয়ে দেয়া বলে নেইমার ডিওনের গোলরক্ষক ব্যাপতিস্তা রেনেটের মাথার উপর দিয়ে বল উঠিয়ে দিলে শেষ মুহূর্তে তাতে স্পর্শ করে ব্যবধান দ্বিগুন করেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই উইঙ্গার। ২১ মিনিটে ডান দিক থেকে ডি মারিয়ার ক্রসে কাভানি মৌসুমের সেরা গোলটি করেছেন। আর এর মাধ্যমে লীগে ২০তম গোলের সাথে সাথে পিএসজির হয়ে ইব্রাহিমোভিচের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন।

এরপর পুরো সময়টা ছিল নেইমারময়। ৪২ মিনিটে নিজের সিগনেচার ফ্রি-কিক দিয়ে দলের ব্যবধান নিয়ে যান ৪-০’তে। ৫৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করতে কোন ভুল করেননি বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই ফুটবলার। ৭৩ মিনিটে অনেকটা একক প্রচেষ্টায় বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ম্যাচের অন্যতম সেরা গোলটি করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন নেইমার। ডি মারিয়ার স্থানে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেই মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে নেইমারের সহযোগিতায় পিএসজিকে সপ্তম গোল উপহার দেন এমবাপ্পে। ৮৩ মিনিটে কাভানির আদায় করা পেনাল্টি থেকে ঘরের মাঠে সবচেয়ে বড় জয় উপহার দেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার।

 

এদিকে লিওনেল মেসির পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট হওয়ায় তা শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনাকে কোন সুখবর দিতে পারেনি। কোপা ডেল রে’র কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানেয়লেন কাছে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সফরকারী বার্সাকে।

ম্যাচ শেষে দুই মিনিট আগে মার্ক নাভারোর লো ক্রসে ওস্কার মেলেন্ডোর গোলে কাতালান ডার্বিতে এস্পানেয়লের জয় নিশ্চিত হয়। এর আগে ৬২ মিনিটে মেসি পেনাল্টি মিস করায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি কাতালান জায়ান্টদের। ম্যাচ শেষে বার্সার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সার্জিও বাসকোয়েটস বলেছেন, ‘আমরা জানতাম এই দিন একদিন আসবে। আমরা ম্যাচটি ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আজকের দিনটি কার্যত আমাদের ছিলনা। তবে ভাল দিক হচ্ছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি আমাদের মাঠে, সেখানে ফিরে আসার যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে। এটা সৌভাগ্যই বলতে হয়। যা কিছুই হোক না কেন জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে।’
ম্যাচে বার্সেলোনা সুযোগ কম পেয়েছে। তবে সার্জি রবার্তোর আদায় করা পেনাল্টি থেকে বার্সেলোনার জয় প্রায় নিশ্চিতই মনে হয়েছিল। কিন্তু এস্পানেয়ল গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেজকে পরাস্ত করা মেসির সাধ্য ছিল না। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের শক্তিশালী শটটি বামদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেছেন লোপেজ।

এরপর ৮৩ মিনিটে নাভারো দারুন এক ফ্রি-কিকে স্বাগতিকদের প্রায় এগিয়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু এযাত্রা বার্সাকে রক্ষা করেন জাসাপার সিলিসেন। কিন্ত পাঁচ মিনিট পরে আর শেষ রক্ষা হয়নি। মেলেন্ডোর গোলে নয় বছরে বার্সেলোনার বিপক্ষে এস্পানেয়লের প্রথম জয় নিশ্চিত হয়।

ম্যাচ শেষে এস্পানেয়ল কোচ কুইকে সানচেজ বলেছেন, এই জয়টা ক্লাবের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর মাধ্যমে সব বাধা দূর হলো। বার্সেলোনার বিপক্ষে শেষ কবে এস্পানেয়ল জিতেছিল সেসবই এতদিন পর্যন্ত ইতিহাস ছিল। কিন্তু এখন দল ফিরে এসেছে। আমরা সবাই অত্যন্ত খুশি।

দিনের অপর ম্যাচে বার্সেলোনার মতই হোঁটট খেয়েছে আরেক জায়ান্ট এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। দিয়েগো কস্তার তিন ম্যাচে চতুর্থ গোলেও এ্যাথলেটিকোর পরাজয় এড়ানো সম্ভব হয়নি। ওয়ান্ডা মেট্রোপালিটানোতে ঘরের মাঠে কস্তার গোলে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত সেভিয়ার কাছে ২-১ গোলে হার মানতে হয়েছে এ্যাথলেটিকোকে।

গেতাফের বিপক্ষে লীগে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে গোল করার পরে অশোভন আচরণ করায় কস্তাকে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছিল। যে কারণে এইবারের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তিনি দলে ছিলেন না। তবে পুনরায় দলে ফিরেই ৭৩ মিনিটে সেভিয়া গোলরক্ষক সার্জিও রিকোকে পরাস্ত করে এ্যাথলেটিকোকে এগিয়ে দেন। কিন্তু সাত মিনিট পরে দারুন এক ক্রস থেকে প্রথমে ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজ এবং এরপর গোলরক্ষক মিগুয়েল এ্যাঞ্জেল মোয়ার কল্যাণে আত্মঘাতি গোলে সমতায় ফিরে সেভিয়া। ৮৮ মিনিটে উইসাম বেন ইয়েডেরের সহযোগিতায় জোয়াকুইন কোরিয়া সেভিয়ার জয় নিশ্চিত করেন। এর মাধ্যমে নতুন কোচ ভিনসেনজো মনটেলার অধীনে তৃতীয় জয় তুলে নিল সেভিয়া।

আরেক ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়া পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে আলাভেসকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে। রুবেন সোবরিনোর গোলে ৬৬ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল আলাভেস। ৭৩ মিনিটে গনসালো গুয়েডেস ভ্যালেন্সিয়ার পক্ষে সমতা ফেরানোর পরে ৮২ মিনিটে রডরিগো দলের জয় নিশ্চিত করেন।

(Visited ১৬ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি