ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন হজযাত্রীদের জন্য ভর্তুকি ২০২২ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে বন্ধ করে দিতে। তবে চার বছর আগেই সেই ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মোদির সরকার। তবে গতকাল বুধবার দিল্লিতে সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই হজের ব্যাপারে ভর্তুকি তুলে দেওয়া হচ্ছে। সেই অর্থ এবার থেকে সংখ্যালঘুদের শিক্ষায় ব্যবহার করা হবে।
জানা গেছে, ভর্তুকি তুলে দেওয়া সত্ত্বেও চলতি বছর রেকর্ড সংখ্যক মানুষ হজে যাচ্ছেন। মন্ত্রী আব্বাস নকভির দাবি, এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষ এবার হজে যাচ্ছেন। ২০১২ সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কারভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ১০ বছরের মধ্যে হজের ব্যাপারে ভর্তুকি তুলে দিতে হবে। কিন্তু চার বছর আগেই সরকার তা তুলে দিল।
কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদের দাবি, ভর্তুকির ফায়দা এয়ার ইন্ডিয়া ও সৌদি বিমান সংস্থাই পেত। সে কারণে আমাদের সময়েই ভর্তুকি তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভর্তুকি তুলে দিলেও হজযাত্রীদের কীভাবে পাঠানো হবে, সরকারের তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই ৪৫ বছরের বেশি বয়সের যে সব নারী হজে যেতে চান, তাদের সবার আবেদন মঞ্জুর করা হবে। নকভি জানান, এক হাজার তিনশ নারীর আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।