শীতকালে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা ছাড়াও নানা কারণে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। আর কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করলেই এসব অসুখ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।
এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু বিষয়, যা শীতকালে অসুখ থেকে নিরাপদ থাকতে সহায়তা করবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. সঠিক পোশাক না পরা
শীতকালে যেন ঠাণ্ডা না লাগে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। আর এজন্য সবার আগে নজর দিতে হবে পোশাকের দিকে। দেহ যেন উষ্ণ থাকে সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে হবে। বহু পোশাক আছে যেগুলো সঠিকভাবে দেহকে উষ্ণ রাখতে পারে না। তাই শীতকালে সাবধানে পোশাক বাছাই করুন।
২. জানালার পর্দা
শীতকালে বাড়ির উষ্ণতা ধরে রাখতে জানালার পর্দা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাইরে থেকে যখন রোগ আসবে তখন তা ঘরে ঢুকতে দিতে হবে। এজন্য সে সময় সরিয়ে রাখতে হবে পর্দা। অন্যান্য সময় পর্দা বন্ধ রাখতে হবে যেন ঘরের উষ্ণতা বাইরে চলে না যায়।
৩. প্রতিদিন গোসল
শীতকালে প্রতিদিন গোসল না করলেও চলবে। কারণ গোসলে দেহের ভালো ব্যাক্টেরিয়া মারা যেতে পারে, যারা দেহে আক্রমণকারী ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে সহায়তা করে।
৪. শারীরিক সক্রিয়তার অভাব
শীতকালে সুস্থ থাকার জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এক্ষেত্রে শারীরিক অনুশীলন ও দেহ সচল রাখার কথা ভুলে গেলে চলবে না। অলস শরীরে বাসা বাধে বহু রোগ। শীতকালে তা বেড়ে যেতে পারে।
৫. পানিশূন্যতা
শীতকালে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। কারণ এ সময় সাধারণত পানির তৃষ্ণা বোধ হয় না। আর এতে পানি পানের চাহিদাও থাকে না। যদিও এ অবস্থায় দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৬. মৌসুমী ফলমূল না খাওয়া
প্রতি শীতকালেই নানা ধরনের মৌসুমী ফলমূল দেখা যায়। এসব ফলমূল খেলে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। যদিও আমরা অনেকেই মৌসুমী ফলমূল খাই না। এতে রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতাও গড়ে ওঠে না।
৭. উষ্ণ পানীয় পান না করা
শীতকালে উষ্ণ পানীয় পান করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যদিও অনেকেই শীতকালে পর্যাপ্ত উষ্ণ পানীয় পান করেন না। এতে নানা মৌসুমী রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।