শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকেরা থিতু হয়ে বসার আগেই জোড়া আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ে ইনিংসের প্রথম ওভারেই যথাক্রমে সলোমন মিরে ও ক্রেইগ আরভিনকে তুলে নেন তিনি। এরপর অষ্টম ওভারের শেষ বলে হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকেও হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এরপর দ্রুত আরও ২ উইকেট হারানোয় দলটির এখন কাঁপাকাঁপি অবস্থা! ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৯ ওভারেই গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৭১ রানের।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসে দ্বিতীয় বলেই সলোমন মিরেকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। ওয়াইড ডেলিভারিটি খেলতে গিয়ে মিরের পেছনের পা উঠে গিয়েছিল। এ সুযোগে তাঁকে স্টাম্পিং করেন মুশফিকুর রহিম। এক বল পরই আরভিনকে মিড উইকেটে সাব্বির রহমানের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব। অষ্টম ওভারের শেষ বলে মাশরাফির করা অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিককের গ্লাভসবন্দী হান মাসাকাদজা। চতুর্থ উইকেটে সিকান্দার রাজার সঙ্গে ব্রেন্ডন টেলরের ২১ রানের জুটি ভেঙে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা টেলরকে (২৪) মুশফিকের গ্লাভসবন্দী করেন এ পেসার।
পঞ্চম উইকেটে ম্যালকম ওয়ালারকে সঙ্গে নিয়ে ৩০ রানের জুটি গড়ে স্রোতের বিপরীতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেস্টা করেছিলেন সিকান্দার রাজা। কিন্তু সেই প্রতিরোধ ভেঙে দেন সানজামুল ইসলাম। ২৬তম ওভারে ওয়ালারকে তুলে নেন এ স্পিনার। জিম্বাবুয়ের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ৮১। ষষ্ট উইকেটে পিটার মুরের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন সিকান্দার রাজা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন তিনি। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫২ রানে মুরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে রানআউট হন সিকান্দার। এরপর ৪৬তম ওভারে ক্রেমারকেও তুলে নেন সাকিব। ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপর্যয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার।
তবে জিম্বাবুয়ের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারত, যদি নাসির হোসেন ক্যাচ না ছাড়তেন! ২১তম ওভারে স্লিপে ওয়ালারের ক্যাচ ছাড়েন বাংলাদেশের এ ফিল্ডার।