রাজধানীর তেজকুনিপাড়ার জঙ্গি আস্তানা থেকে যে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানিয়েছে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি জানান, আত্মঘাতী হওয়ার আগে তারা বাসার গ্যাসের চুলার ওপর গ্রেনেড রেখে পুরো ভবন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। তবে র্যাবের অভিযানের মুখে তাদের সে অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার সকালে তেজকুনিপাড়ার জঙ্গি আস্তানা ‘রুবী ভিলা’ পরিদর্শনের গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও এমপি হোস্টেলের ঠিক পেছনে ১৩/১ রুবী ভিলায় ‘জঙ্গি আস্তানা’র সন্ধান পেয়ে অভিযানে নামেন র্যাব সদস্যরা। সকাল পর্যন্ত অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন র্যাব ডিজি।
তিনি ১০টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, আস্তানায় একাধিক সুইসাইডাল ভেস্ট, মরদেহের পাশে পিস্তল, বিস্ফোরক, অবিস্ফোরিত ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ও কিছু বাল্ব পাওয়া গেছে। অভিযানকালে তারা আমাদের র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি-গ্রেনেড ছোড়ে। আমরা দেখেছি ওই ফ্ল্যাটের চুলার গ্যাস পুরোপুরি ছেড়ে দিয়ে তার ওপর গ্রেনেড রেখে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোটা ভবন ধসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা।
বেনজীর আহমেদ জানান, আস্তানায় তিনটি মরদেহ পাওয়া গেছে। সেখানে ছবিসহ একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) পাওয়া গেছে, যেখানে নাম লেখা জাহিদ। ঠিক একইরকম আরও একটি ফটোকপি এনআইডি কার্ড পাওয়া গেছে, সেখানে নাম লেখা সজিব। আমরা দু’টিই সংগ্রহ করেছি। তবে ধারণা করছি এ দু’টি এনআইডি কার্ডই ভুয়া। আলামত সংগ্রহ করছি, তদন্ত করে জানানো হবে।
পরিচয় জানা না গেলেও তিন জনের বয়স আনুমানিক ২০-৩০ বছরের মধ্যে।
তিনি জানান, নিহত জঙ্গিরা সপ্তাহখানেক আগে ৪ জানুয়ারি বাড়িটিতে মেস হিসেবে ভাড়ায় ওঠে। বাড়ির মালিক সাব্বির মেস ভাড়া দেওয়ার জন্য কেয়ারটেকার রাখলেও এই ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে কিছু জানতেন না। কেয়ারটেকার রুবেলের মাধ্যমে এই তিন জন ফ্ল্যাটটিতে ওঠেন।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক সাব্বিরকে হেফাজতে নিয়েছে র্যাব।