সবাই তাকে ভালো বলে। তার উদার মানসিকতা, সার্বজনিন চিন্তা-ভাবনা এবং সাহসী, তেজোদ্দীপ্ত নেতৃত্বের প্রশংসা সবার মুখে মুখে। মাশরাফি বিন মর্তুজা দলে থাকা মানেই সহযোগিদের মাথার ওপর সার্বক্ষণিক ছায়া থাকা। ক্রিকেটারদের ভালো খেলতে উজ্জীবিত-অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতাও তার দারুণ। তাইতো সবার প্রিয় মাশরাফি। নেতা হিসেবে সবার সেরা।
আজ ইমরুল কায়েসের মুখেও সেই কথা। গণমাধ্যমের সাথে দুই অধিনায়ক মাশরাফি ও সাকিব সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে ইমরুলের উচ্চারণ, ‘মাশরাফি ভাই মোটিভেট করার জন্য সব সময় তাতিয়ে দেওয়ার মতো কথা বলে, নেতা হিসেবে তিনি সেরা। কেউ ভালো করুক, খারাপ করুক, পাশে থাকেন। আর সাকিব অনেক অভিজ্ঞ। বাইরে খেলে তার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করে, কি করলে বেটার হয়। আমার মনে হয় এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ও উঠতি খেলোয়াড়দের জন্য ইতিবাচক।’
আশার কথা, এমন দুজন সেরার সেরা অধিনায়কের হাতেই এখন বাংলাদেশের ক্রিকেট। মাশরাফি ও সাকিবের হাত ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে আবার আলোয় ফিরবে বাংলাদেশ দল-ভক্ত ও সমর্থকদের এমন প্রত্যাশার সাথে একমত ইমরুলও। তারও বিশ্বাস, আবার ঘুরে দাঁড়াবে টাইগাররা।
এ কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ব্যর্থতা নিয়ে না ভেবে সামনে তাকাতে চান ইমরুল। তিনি বলেন, ‘দেখুন, যেটা হয়ে গেছে চিন্তা করে লাভ নেই। যেটা অতীত, সেটা অতীতেই থেকে গেছে। সামনের দিকে যে সিরিজগুলো আছে সেটা নিয়ে ফোকাস করা বেটার। এগুলো নিয়ে চিন্তা করলে আমাদের জন্য ভালো।’
আত্মবিশ্বাসী ইমরুলের দৃঢ় বিশ্বাস, দেশের মাটিতে বাংলাদেশ সব সময়ই ভালো খেলে। এবারো হয়ত ভালো খেলবে। তাইতো মুখে এমন আশা জাগানো সংলাপ, ‘সবাই জানে, আমাদের কন্ডিশনে আমরা কেমন দল। এটা মুখে বলার থেকে যদি কাজে করে দেখাতে পারি, তাহলে সেটাই ভালো হবে।’
প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে নিয়ে মূল্যায়ন করতে গিয়ে ইমরুল বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের মতো খেলতে পারি, তাহলে আমাদের অতিরিক্ত চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আমরা জানি, আমাদের কন্ডিশনে আমরা কতটা শক্ত দল। হ্যাঁ, হাথুরু আমাদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে। কিন্তু মেইন জিনিস হচ্ছে মাঠে প্রয়োগ করা।’
নিজের ব্যাটিং আর দলে থাকার ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী? এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরুল বলেন, ‘না, এগুলো নিয়ে চিন্তা করি না। আর যতদিন খেলব, নিজের ব্যাটিং নিয়েই কাজ করতে হবে। কারণ কোনো ব্যাটসম্যানই তার পারফেকশনের জায়গায় যেতে পারে না। কাজেই যতদিন খেলতে হয় কাজ করতে হবে।’