দেশের বাজারে অবাধে হেভি মেটাল (ভারী ধাতু) মিশ্রিত মাছ বিক্রি হচ্ছে। ঢাকায় বিমান ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করে যে সকল মাছ দেশের বাজারে বিক্রির জন্য আনা হচ্ছে তার অধিকাংশ চালানেই জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর লেড, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম ও মার্কারি পাওয়া যাচ্ছে।
এসব আমদানিকৃত মাছের চালান ল্যাবরেটরি টেস্টের ফলাফল ছাড়া খালাস না করতে অনুরোধ জানিয়ে কাস্টমসকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বাংলাদেশ ফুড সেইফটি অথরিটি)।
আজ (সোমবার) নববর্ষের প্রথম দিন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মাহবুব কবীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠি চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সকল পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, আমদানিকৃত সকল প্রকার মাছে অতিমাত্রায় হেভি মেটাল, বিশেষ করে সীসা বা লেড, ক্রোমিয়াম ও মার্কারি পাওয়া যাচ্ছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দেশকে খাদ্যে ভেজালমুক্ত করা বা নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধানে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) লক্ষ্য পূরণে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আমদানিকৃত সকল প্রকার মাছ বন্দর থেকে খালাসের আগে অ্যাটমিক এনার্জি সেন্টার, ঢাকা, বিসিএসআইআর, ঢাকা বা ফিস কন্ট্রোল ল্যাব, সাভার, ঢাকা থেকে (লেড, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়ায় ও মার্কারি) পরীক্ষা করে মৎস্য অধিদফতর কর্তৃক নির্ধারিত মাত্রার ভেতর পাওয়া গেলে তবেই খালাসের অনুমতি প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে চিঠি ইস্যুকারা বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপদ কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) সোমবার রাতে ফেসবুকে এ ব্যাপারে একটি স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘মজা করে ইলিশ খাচ্ছেন তাই না!! এটার নাম কলম্বো স্বাদ এবং গিজার্ড স্বাদ। এই দুই নামে আমদানি হচ্ছে। প্রচুর আসছে। দেখতে অবিকল ইলিশ, স্বাদেও কিছুটা ইলিশের মতোই।’
তিনি লিখেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে এই দুই নম্বর ইলিশ। ঢাকা বিমানবন্দর দিয়েও আসছে। হেভি মেটালে ভরা এই মাছ। লেড বা সীসার পরিমাণ আকাশ্চুম্বী।
প্রতিজ্ঞা, ২০১৮ সাল হবে ভেজাল মুক্তির বছর ইনশাআল্লাহ। সব কাস্টম কমিশনার মহোদয়দের কাছে চিঠি যাচ্ছে, ল্যাব টেস্ট ছাড়া মাল খালাস করা যাবে না।