নেইমার বিক্রির ২২২ মিলিয়ন ইউরো থেকে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো গত গ্রীষ্মেই খরচ করে ফেলেছে বার্সেলোনা। কিনেছে উসমানে ডেম্বেলে ও পওলিনহোকে। বাকি ৭২ মিলিয়ন ইউরো বার্সেলোনা ব্যাংককে আলাদাভাবে জমা করে রেখেছে ফিলিপে কুতিনহোকে কেনার জন্য! সম্প্রতি অবশ্য গুঞ্জন উঠেছে, কুতিনহোর পরিবর্তে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের আতোইন গ্রিজমানকে কিনতে চাইছে বার্সেলোনা। হ্যাঁ, গ্রিজমানের সঙ্গে তলেতলে কথা চালিয়ে যাচ্ছে বটে। তবে কুতিনহোর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে কথা-বার্তা নাকি প্রায় পাকা!
লিভারপুল শেষ পর্যন্ত ১৫০ মিলিয়ন ইউরোতে কুতিনহোকে বিক্রি করতে রাজি হয়েছে বলে খরব। বার্সেলোনাও নাকি লিভারপুলের এই চাওয়া মেনে নিয়েছে। যার অর্থ, কুতিনহোকে কিনতে হলে জমাকৃত টাকার সঙ্গে বাড়তি আরও ৭৮ মিলিয়ন ইউরো লাগবে। বার্সেলোনা এতো টাকা পাবে কোথায়? জোগাড় করবে কিভাবে?
স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর, বাড়তি এই টাকা জোগাড়ের পথে নেমে পড়েছে বার্সেলোনা। কাতালন ক্লাবটি অবশ্য হাঁটছে চেনা পথেই। বাড়তি এই টাকা জোগাড় করতে বিক্রি করতে যাচ্ছে নিজেদের একজন খেলোয়াড়কে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, কাকে বিক্রি করতে যাচ্ছে বার্সেলোনা? স্পেনের গণমাধ্যমের খবর, বার্সেলোনার কুতিনহো-ক্ষুধার বলি হতে যাচ্ছেন জেরার্ড দেউলোফু।
তহবিল গঠনে স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ডকেই বিক্রি করতে চাইছে বার্সেলোনা। ২৩ বছর বয়সী দেউলোফু বার্সেলোনার যুব একাডেমীরই ‘পণ্য’। তবে ২০১৫ সালে তাকে বিক্রি করে দিয়েছিল ইংলিশ ক্লাব এভারটনের কাছে। তবে এই মৌসুমেই আবার এভারটন থেকে তাকে ফিরে এনেছে ঘরে। কিন্তু মৌসুমের অর্ধেক না যেতেই দেউলোফুকে আবার ‘পণ্য’ হতে হচ্ছে দলবদলের বাজারে।
নেইমারের বিকল্প হিসেব যাকে কিনে এনেছে বার্সেলোনা, সেই উসমানে ডেম্বেলে চোটের কারণে ছিটকে পড়েছেন মাঠের বাইরে। তার পরিবর্তে বার্সেলোনা কোচ তাই অনেককেই বা উইংয়ে নেইমারের জায়গায় খেলানোর চেষ্টা করেছেন। পরীক্ষা করেছেন দেউলোফুকেও। কিন্তু স্পেনের তরুণ ফরোয়ার্ড জায়গাটা পাকা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সেই ব্যর্থতার ফল হিসেবেই আবার খেলোয়াড় কেনা-বেচার হাটে উঠতে হচ্ছে তাকে। তা না হয় উঠলেন। কিন্তু দেউলোফুকে বিক্রি করে কি বার্সেলোনা ৭৮ মিলিয়ন ইউরো পাবে?
এতো চড়া দামে তাকে বিক্রি করতে পারবে না, এটা বার্সেলোনাও জানে। কিন্তু তাকে বিক্রি করে যা আসবে, বাকিটা নিজেদের তহবিল থেকে খরচ করে কুতিনহো-সওদা করার পরিকল্পনা পাক্কা বার্সেলোনার!
স্পেনের গণমাধ্যম শেষে এটাও জানিয়েছে, কুতিনহোর জন্য যে পরিকল্পনা, গ্রিজমানকে নিয়েও সেই একই পরিকল্পনাই বার্সেলোনার। শেষ পর্যন্ত যাকে দলে ভেড়াতে পারে আর কি!