বুধবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭ ৯:১২ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের মহেশখালিতে বিমান বাহিনী দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোন বিস্তারিত জানা যায়নি। মহেশখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস ও ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার মাহফুজ রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিটে মহেশখালীর পৌরসভার পুটিবিলা এলাকার ইয়ার মোহাম্মদপাড়ায় সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার আজমের বাড়ির পেছনে খালি জায়গায় প্রথম একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। একই সময় ছোট মহেশখালীতে অপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। সন্ধ্যা সাতটার ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ঘটনাস্থলে সাধারণ মানুষের ভীড় বাড়ছে।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় বিমানবাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনার পরও দুটি বিমানের চারজন পাইলট জীবিত ও অক্ষত আছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক মো. নূর ইসলাম জানিয়েছেন, চারজন পাইলটকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে বিমানের কোনো পাইলট আহত না হলেও বিমানের ধসে পড়া অংশে আঘাত পেয়ে আখি (১৫) ও ফয়সাল (১২) নামের দুই শিশু আহত হয়েছে।

মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানিয়েছেন, বিমানটি ওই এলাকার জনৈক আবদুস সাত্তারের বাড়ির ওপরের অংশ উড়িয়ে নিয়ে পাশের ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। ওই সময় দুই শিশু আহত হয়েছে। বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মোহন্ত জানিয়েছেন, মহেশখালীর পুটিবিলায় বিমানবাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর তিনিও পেয়েছেন। বিমান দুটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। কী কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেননি বিমানবন্দরের ওই কর্মকর্তা।

আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদুল হাসান জানান, ‘বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি রাডার থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এটি বিধ্বস্ত হয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত না। বিমানটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। সাধারণত প্রশিক্ষণ বিমানে দুই জন পাইলট থাকেন। তবে এই বিমানে কয়জন বা কারা ছিল তা এখনই জানানো যাচ্ছে না। তাদের উদ্ধারের কাজ চলছে।’

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার মাহফুজ রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে।

ভেলায় ভেসে কক্সবাজারে শিশুসহ অর্ধশত রোহিঙ্গা
মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের নির্যাতন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে প্লাস্টিকের ক্যান ও বাঁশের তৈরি ভেলায় ভেসে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন ৫২ রোহিঙ্গা।

বুধবার সকালে কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, ভেলায় চড়ে আসাদের মধ্যে ২২টি শিশু, ১৭ জন নারী ও ১৩ জন পুরুষ রয়েছে।

ভেলায় ভেসে আসা রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ভেলায় ভেসে বাংলাদেশে পৌঁছানো মায়ানমারের বুচিডং শহরের চিংঅং গ্রামের নুরুল কবির জানান, মায়ানমার থেকে পালানোর জন্য নৌকা না পেয়ে চারদিন ধরে প্লাস্টিকের জারিকেন ও বাঁশ দিয়ে একটি ভেলা তৈরি করা হয়। পরে ওই ভেলায় ৫২ জনকে নিয়ে মায়ানমারের মংডু শহরের দংখালী গ্রাম থেকে দিবাগত রাত ৩টার দিকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। বইঠা চালিয়ে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে সকাল ৮টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ায় পৌঁছান। পরে বিজিবির সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।

নুরুল কবির আরো জানান, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও রাখাইন উগ্রপন্থী যুবকদের অত্যাচারে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। গত কয়েক মাস ধরে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছেন মায়ানমারের সেনারা। তাদের অমানবিক অত্যাচারে পালাতে বাধ্য হচ্ছে রোহিঙ্গারা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে অনেকে বাংলাদেশে পাড়ি দিতে পারলেও অনেকে আটকা পড়েছেন। বর্তমান সময়ে মায়ানমার থেকে পালাতে নৌকার সঙ্কট দেখা দেওয়ায় তারা ভেলা তৈরি করেছেন।

বিজিবি কর্মকর্তা আরিফুল বলেন, মানবিক সহায়তা দিয়ে আপাতত তাদের এক জায়গায় জড়ো করে রাখা হয়েছে। তাদের সঙ্গে ইয়াবা, অস্ত্র ও অবৈধ পণ্য আছে কি না তল্লাশি করে পরে তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হবে।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। নভেম্বরের জন্য পরিষদের প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিনো কার্ডি এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য এনজিওকে সাথে নিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেন।

(Visited ১১ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত

লিটন বাশার ছিলেন প্রতিবাদী কন্ঠস্বর-সাংবাদিক পরিষদের স্মরন সভায় বক্তারা

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট বেলজিয়ামের রানি

মেঘনায় বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি, ৪৫ জনকে উদ্ধার

দ্বিতীয় বাণিজ্যিক হেডকোয়ার্টার হবে বরিশাল : শিল্পমন্ত্রী

বরিশাল বাস মালিক সমিতি থেকে সরে দাঁড়ালেন আফতাব

চীনের হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৮ জন নিহত

বরিশালে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

বরগুনা রিফাত হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১১ আসামির সাজা

জন্মদিনে বাংলাদেশি ভক্তদের ‘উপহার’ হৃদয় ছুঁয়েছে দীপিকার

সমঝোতা স্মারক করবে না ফেসবুক, সহায়তা করবে