প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে কোন সময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলির ক্ষমতা স্থগিত করা হয়েছে।
‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা, ২০১৫’ অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের বাইরেও যে কোন সময় মন্ত্রণালয়ের শিক্ষক বদলির ক্ষমতা ছিল।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) এক অফিস আদেশে মন্ত্রণালয়কে ক্ষমতা দেওয়া ১.২ ও ২.৮ নির্দেশিকা পরবর্তী নির্দেশে না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশটি জারি করা হয়।
ওই নির্দেশিকা ১.২ এ বলা হয়েছে, যুক্তিসংগত কারণে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে বদলি শেষ না করা গেলে মন্ত্রণালয় যে কোনো সময়ের মধ্যে বদলি করতে পারবে।
আর ২.৮ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনস্বার্থে যে কোনো কারণে যে কোনো শিক্ষককে যে কোনো সময় বদলি করতে পারবে।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য নির্দেশনার আলোকে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃবিদ্যালয়, আন্তঃউপজেলা/আন্তঃথানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃসিটি করপোরেশন এবং আন্তঃবিভাগ বদলি করতে হবে। বদলির প্রক্রিয়াতে কোনো ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাধারণ প্রতি শিক্ষা বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃসিটি করপোরেশন ও আন্তঃবিভাগে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নির্দেশিকায় দেওয়া মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা ব্যবহারের অজুহাতে শিক্ষকরা সারা বছরই ঢাকায় ও বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকায় বদলি হতে মন্ত্রণালয়ে ভিড় করেন। এ কাজে তদবিরের জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরও ব্যবহার করেন শিক্ষকরা।
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ক্ষমতা স্থগিত করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।