বরিশালকে ইনিংস ও ৭৮ রানে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। কিন্তু তারপরও শিরোপার স্বাদ পাওয়া হলো না তাদের। কেননা প্রথম স্তররে অপর ম্যাচে এর আগে খুলনা বিভাগ ৩৯৮ রানে ঢাকা মেট্রোকে হারিয়ে অর্জন করেছে ১৪ পয়েন্ট। ষষ্ঠ রাউন্ডে খুলনার চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেশি পেয়েও শিরোপার নাগাল পেল না ঢাকা বিভাগ। কেননা এ রাউন্ড শুরুর আগে খুলনার চেয়ে ঢাকার ৭ পয়েন্ট কম ছিল। তাইতো গতকাল মেট্রোর বিপক্ষে জয় তুলেই শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতে খুলনা।
তাইতো জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে সর্বোচ্চ পয়েন্ট তুলেও আফসোসে পুড়তে হলো ঢাকাকে। আর এদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে খুলনা। খুলনা বিভাগ ৬ ম্যাচে ২ জয় ও চার ম্যাচ ড্র করে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৮তম জাতীয় লিগ শেষ করলো খুলনা। আর ফলাফলে সমান অবস্থানে থাকলেও ৪ পয়েন্ট কম থাকায় রানার্স আপ হয়ে লিগ শেষ করলো ঢাকা।
শেষ রাউন্ডে দুরন্ত ক্রিকেট উপহার দিয়েছেন ঢাকার ক্রিকেটাররা। দাপুটে ক্রিকেট খেলা ঢাকা প্রথম ইনিংসেই ম্যাচটি নিজেদের করে নেয়। সাইফ হাসান (২০৪) ও তাইবুর রহমানের (২৪২) ডাবল সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৮৮ রানের পাহাড়সম ইনিংস গড়ে তারা। জবাবে বরিশালের প্রথম ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৮৯ রানে।
ফলো-অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ইনিংস হার এড়াতে পারেননি তারা। ওপেনার শাহরিয়ার নাফীসের (১০৪) সেঞ্চুরির পরও ৩২১ রানে থামে বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংস।
দেওয়ান সাব্বির ও নাজমুল ইসলাম নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাইবুর রহমান ও মোশাররফ হোসেন রুবেল।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৫৯ রান নিয়ে শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন আল আমিন ও সোহাগ গাজী। ১৬ রানে অপরাজিত থাকা সোহাগ গাজী এ দিন আর ১ রান যোগ করে তাইবুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হন।
বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি আল আমিনও। ৩২ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করা এ ব্যাটসম্যান আর ৫ রান যোগ করে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে নাজমুল ইসলামের বলে আউট হন। এরপর সালমান হোসেন ৪৬ রানের ইনিংস খেলে ইনিংস হার এড়াতে লড়লেও টেল এন্ডারদের ব্যর্থতায় সে চেষ্টা সফল হয়নি।
ব্যাট-বলে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তাইবুর রহমান।