ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়ের কাছে পবিত্র ভূমি হিসেবে গণ্য জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। হোয়াইট হাউসে বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষণে ইসরাইলের রাজধানীতে তেলআবিবের পরিবর্তে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এরকম ঘোষণা ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সৌদি আরব।
জেরুজালেম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ শান্তি প্রক্রিয়ার প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেও সৌদি রয়াল কোর্টের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তাছাড়া, ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে স্থানান্তরে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ডেকে আনবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে তুরস্ক, জর্ডানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। উল্লেখ্য, ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নিজেদের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তখন তাদের সমর্থন দেয়নি। পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনে প্রথম ইন্তিফাদার (এর অর্থ গণ-অভ্যুত্থান) সূচনা হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। ১৯৯৩ সালে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে। ওই শান্তি চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনও চায় পূর্ব জেরুজালেম তাদের রাজধানী হবে।
এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
ট্রাম্পের ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যকে আগুনের মধ্যে ঠেলে দেবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, হে ট্রাম্প, আপনি কী করতে চান? এটা কী ধরনের আচরণ। রাজনৈতিক নেতা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান, তারা কোনো বিষয়কে অচল করেন না। তাছাড়া, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিছিলের ডাক দিয়েছেন। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’, ‘সাহসী ও সঠিক সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের কাছে পবিত্র এই শহরের স্থাপনায় কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন।