তিনটি উদ্ভাবনী নিয়ে আঞ্চলিক স্কিলস কম্পিটিশনে অংশ নিয়েছে বসুন্ধরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মোট ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেয়। বসুন্ধরার শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী তিনটি প্রজেক্ট প্রদর্শন করে। সেগুলো হলো— ওয়াটার লেভেল ইনডিকেটর উইথ এলার্ম অ্যান্ড সেন্সর সিস্টেম, হাইড্রোলিক এক্সেভেটর ও সেভ রোড সেভ লাইফ। এর মধ্যে ‘সেভ রোড সেভ লাইফ’ প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারলে সব চৌরাস্তা যানজট, দুর্ঘটনা এবং এক রোড থেকে অন্য রোডে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোনো সিগন্যাল বা ট্রাফিক পুলিশের প্রয়োজন হবে না।
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের আওতায় এ কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত হয়। স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের (স্টেপ) সহযোগিতায় এ কম্পিটিশন উপলক্ষে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী কাজী জাকির হোসেন। বসুন্ধরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ওয়াটার লেভেল ইনডিকেটর উইথ এলার্ম অ্যান্ড সেন্সর সিস্টেম’ বিদ্যুৎ ও পানি অপচয় রোধ করতে সাহায্য করবে। ‘হাইড্রোলিক এক্সেভেটর’ প্রযুক্তি চালকবিহীন মাটি, বালিসহ এ জাতীয় পদার্থ খনন কাজে ব্যবহার করা যাবে।
চাইলে চালকও চালাতে পারবে। ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্গোম এলাকায় এটি ব্যবহারে সর্বাধিক ফল পাওয়া যাবে। বসুন্ধরা শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী তিনটি প্রযুক্তি স্বল্পমূল্যে ব্যবহার করা যাবে। উদ্ভাবনী এ প্রযুক্তি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রাখবে।