নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে দলের একাদশে নেই বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। কিন্তু তাতে খুব একটা বিচলিত নন এই তরুণ পেসার। কেননা খুব সম্ভবত তাকে টেস্ট দলে পেতেই টি২০ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। আগে থেকেই এমন খবর শোনা গিয়েছিল যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই তাসকিনের টেস্ট অভিষেক হতে পারে। আর টি২০ সিরিজে তাকে না রাখার ফলে এই সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে।
২০১৬ সালের শেষ দিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্ট অভিষেক হওয়ার কথা ছিল তাসকিনের। কিন্তু সেই সময় তিনি ইনজুরিতে থাকায় তাকে কিছুটা সময় দিয়েছিল বোর্ড। হতে পারে নিউজিল্যান্ড সফরেই শেষ হতে যাচ্ছে তাসকিনের অপেক্ষার প্রহর। কারণ বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও সেইরকম ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন ও উইকেট সব কিছু মিলিয়ে তাসকিন দলের জন্য দারুণ কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারেন। তার বলের গতি, সুইং, বাউন্স সব দিক বিবেচনা করে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। এরই মধ্যে ১৭ সদস্যের টেস্ট স্কোয়াড তৈরি করেছেন নির্বাচকরা। এখন শুধু অপেক্ষা বোর্ড সভাপতির অনুমোদনের।
আরও আগেই টেস্টে অভিষেকের কথা থাকলেও ক্যারিয়ারের শুরুতেই হাঁটুতে চোট পাওয়ার কারণে তা দীর্ঘায়িত হয় তাসকিনের। ২০১৪ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক, এরপর দুটি বছর শুধু সতর্কতার কারণে তাকে তাকে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও সর্বশেষ খেলেছিলেন ২০১৩ সালের বিসিএলে। এর মাঝে হোম সিরিজের আগে বিদেশি দলগুলোর বিপক্ষে দু-একটি তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও ক্রিকেটের লং ভার্সনে সে অর্থে তেমন একটা খেলা হয়নি তার।