পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, প্রাক্কলিত সাময়িক হিসাব থেকে ৮ ডলার বেড়ে দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় এখন ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসাবে এমন চিত্র ফুটে উঠেছে। এর আগে বিবিএসের সাময়িক হিসাবে গত ২০১৬-’১৭ অর্থবছরের মাথাপিছু জাতীয় আয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১ হাজার ৬০২ ডলার। বিবিএসের চূড়ান্ত হিসাবে গত ২০১৫-’১৬ অর্থবছরে জাতীয় মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৬৫ ডলার।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.২৮% : একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো জানান, গত ২০১৬-’১৭ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-র প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। এটি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসাব। এর আগে বিবিএসের সাময়িক হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ হয়েছিল। প্রবৃদ্ধি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে মাথাপিছু জাতীয় আয়ও বেড়েছে। মোট জিডিপির আকারও বেড়েছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে জিডিপির আকার ২৪ হাজার ৯৬৮ কোটি ডলার। তবে এর আকার ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াতে স্বাধীনতার পর ৩৪ বছর লেগেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া ও কম্বোডিয়া- কেবল এই তিনটি দেশেই পরপর দু’বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশের বেশি হলো। তিনি মনে করেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশ ছাড়ানোর পেছনে দেশের কৃষক, শ্রমিক, বেসরকারি খাতসহ সবার অবদান আছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা ৬-এর বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছি। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ২০১৯ সালে এটাকে আমরা ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে পারবো।
তিনি জানান, সরকারের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধিকে ৯ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। তাহলে ২০৪১ সাল নাগাদ দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এবারই প্রথমবারের মত দেশে জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরে জিডিপির ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে। এর আগের বছর এই হার ছিল ২৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
বিবিএসের হিসাবে ২০১৬-’১৭ অর্থবছরে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, শিল্পখাতে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ এবং সেবাখাতে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত ২০১৫-’১৬ অর্থবছরে বিবিএসের চূড়ান্ত হিসাবে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ।