রাতারাতি জিম্বাবুয়ের রাজনীতিতে ঝড়ো হাওয়া। তাতে তছনছ হয়ে গেছে ৩৭ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের মসনদ। ৯৩ বছর বয়সী মুগাবে ও তার পরিবার নিরাপদে আছেন বলে ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী। তারা এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে ‘অপরাধী’দের থাবা থেকে দেশকে রক্ষা করতে তারা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আটক করেছে অর্থমন্ত্রীকে।
রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে সাজোয়া যান। কোনো গাড়ি রাস্তায় অপেক্ষায় থাকতে দিচ্ছে না। এ অবস্থাকে সামরিক অভ্যুত্থান ছাড়া কিছু বলা যায় না। তবে সেনাবাহিনী সরাসরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। ফলে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না প্রায় চার দশক ক্ষমতায় থাকা মুগাবের নিয়ন্ত্রণেই আছে দেশ নাকি সামরিক অভ্যুত্থানে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। এসব কথা লিখেছেন সাংবাদিক ডেভিড ম্যাকেঞ্জি, ব্রেন্ট মোইলস ও যোশুয়া বারলিঙ্গার। স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় যখন রাজপথে সেনারা টহল দিচ্ছিলো তখন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জেডবিসি’তে সরাসরি ভাষণ রাখছিলেন সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র। দেশ সেনাবাহিনীর কব্জায় এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। একই সঙ্গে ঘোষণা দেন রবার্ট মুগাবে ও তার পরিবার নিরাপদে আছেন। সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল এসবি মোয়ো বলেন, আমাদের দেশবাসী ও সীমান্তের ওপাড়ে বিশ্ববাসীকে আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই এটা সরকারের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কেড়ে নেয়া নয়। জিম্বাবুয়ের প্রতিরক্ষা বাহিনী যা করছে তা হলো দেশে অবনতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে পথে আনা। যদি এটা করা না হতো তাহলে দেশে ভয়াবহ সহিংস সংঘাত হতো। তাই তিনি জনসাধারণকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন এবং প্রয়োজন ব্যতীত চলাফেরা সীমিত করার আহ্বান জানান।