বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে দাফতরিক কার্যক্রম। যে কোন মুহূর্তে জরাজীর্ণ ভবনটি ধ্বসে পড়ে দুর্ঘটনার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এলাকাবাসীর সেবা দিতে গিয়ে এখন নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
জানা যায়, ১৯৭৩ সালে ১১ শতাংশ জমির উপর প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনটি নির্মাণ করে এলজিইডি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ভবনের মাঝখানের ছাদের ইট-সুরকি-পলেস্তার খসে পড়ছে। দরজা-জানালাগুলোর অবস্থাও বেহাল। বৃষ্টির সময় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। বৃষ্টির পানিতে কক্ষগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনটির মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে কর্মচারীরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আর ওই জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে কৃষি তথ্যসেবা, ডিজিটাল তথ্যসেবা, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা নিতে আসছেন এলাকাবাসী। ভবনটি সংস্কার কিংবা নতুন ভবন নির্মাণে বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ জানান, জনগণ তাদের জানমালের নিরাপত্তা এবং সেবাদানের জন্য তাদের পরিষদ নির্বাচিত করেছেন। এখন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নাজুক অবস্থার কারণে তাদের নিজেদেরই জীবনেরই নিরাপত্তা নেই। তিনি নতুন একটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের দাবি জানান।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাঈদুজ্জামান বলেন, জমির অভাবে নতুন ইউপি ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট শেখ টিপু সুলতান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে তিনি এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। জমি অধিগ্রহণের পর নতুন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।