ডেস্ক রির্পোট.
অষ্টম শ্রেণির সমাপনী জেএসসি ও জেডিসিতে এবার পাসের হার সামান্য বেড়েছে, তবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এক লাফে অর্ধ লাখ বেড়ে গেছে।
এবার জেএসসি-জেডিসিতে গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় গড় পাসের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০১৫ সালে গড় পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
এবার দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯৬ হাজার ২৬৩ জন। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৫১ হাজার ৩২৫ জন।
ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৫ জন। এবার পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন বেশি।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জেএসসিতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জেডিসিতে ৯৪ দশমিক ০২ শতাংশ। গত বছর জেএসসিতে পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৩১ ও জেডিসিতে ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জেএসসি-জেডিসির ফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সার-সংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।
ফলাফলের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এবার জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯ জন, যা গত বছরের তুলনায় (গত বছর ছিল এক লাখ ৮৭ হাজার ৫০২) ৪৭ হাজার ৫৫৭ জন বেশি। জেডিসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৫২৯ জন, যা গত বছরের (গত বছর ছিল আট হাজার ৭৬১ জন) তুলনায় ৩ হাজার ৭৬৮ জন বেশি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার দুই পরীক্ষায় মোট ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৯ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৫ জন। এরমধ্যে জেএসসিতে অংশগ্রহণ করেছে ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৬ জন, পাস করেছে ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৪৯৬ জন পরীক্ষার্থী। জেডিসিতে তিন লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে তিন লাখ ৪৩ হাজার ১৯০ জন।
এবার শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬ হাজার ২৪৭টি, কোন শিক্ষার্থী পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮টি। গত বছর ৮ হাজার ৫৮৩টি প্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছিল এবং ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছিলে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এবার বিদেশ কেন্দ্রে জেএসসিতে পাসের হার ৯৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, গত বছর এ হার ছিল ৯৮ দশমিক ২১ শতাংশ।
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা গত ১ নভেম্বর শুরু হয়। শেষ হয় ১৭ নভেম্বর।
যেভাবে পাওয়া যাবে পরীক্ষার ফল
মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষা কেন্দ্র/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল/ওয়েব মেইল) এবং এসএমএসের মাধ্যমে একযোগে প্রকাশ করা হয়।
নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীরা মোবাইলে এসএসএম, শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবে।
মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে জেএসসির ফল পেতে যে কোনো মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে JSC লিখে স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম ইংরেজি তিন অক্ষর, স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে পাসের বছর 2016 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।
এসএমএসের মাধ্যমে জেডিসির ফল পেতে JDC লিখে স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম ইংরেজি তিন অক্ষর, স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে পাসের বছর 2016 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।