প্রথমে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, এরপর টি-টোয়েন্টি দলপতি সাকিব আল হাসান এবং সর্বশেষ আজ রাতে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমও চন্ডিকা হাথুরু ইস্যুতে কথা বললেন। মোটা দাগে বলতে গেলে বলতে হয়, মাশরাফি আর সাকিব যা বলেছিলেন, মুশফিকুর রহীমের কথাও অনেকটা সে রকম।
প্রথম কথা, হাথুরুসিংহে সত্যি সত্যিই থাকবেন কি, থাকবেন না- তা নিয়ে আছে ধু¤্রজাল। মুশফিকও আগে সেটা জানতে চান। আর পদত্যাগের কথাটাই তার কাছে হতাশার। রোববার রাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হারের পর প্রেস কনফারেন্সে এসেছিলেন কথা বলতে। সেখানেই সাংবাদিকরা হাথুরুসিংহে ইস্যুতে মুশফিকের বক্তব্য জানতে চান।
মুশফিক বলেন, ‘আসলে অনুভুতির কথা কি বলবো! এখনো পুরো ব্যাপারটাই ধোঁয়াটে। সিদ্ধান্ত কি হয়েছে, তা বলতে পারছি না এখনো। তবে যা শুনেছি, তাতে সবার মত আমিও শকড। জাতীয় দলের শেষ সফরে (দক্ষিণ আফ্রিকায়) এক সাথে ছিলাম, এক সঙ্গে কাজও করেছি। তখন কিছুই বুঝিনি।’
এদিকে মুশফিকের সোজা-সাপটা কথা, ‘বিপিএল বড় মাপের আসর। মূল ফোকাস আসলে বিপিএল নিয়েই। এর বাইরে অন্য কোন বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া কঠিন। আর কোচের বিষয়টি একান্তই বিসিবির ব্যাপার। তাই এ নিয়ে কোনরকম মন্তব্য করতে পারবো না।’
এটুকু বলার পাশাপাশি মুশফিকের আশা খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে গেলেই ভালো। তাই তো মুখে এমন কথা, ‘আল্লাহ যা করবেন, নিশ্চয়ই তা ভালোর জন্যই করবেন। তবে আমার ইচ্ছে হলো, যেটাই হোক তা যেন তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যায়। বিপিএলের পর অনেক আন্তর্জাতিক খেলা আছে। তার আগে কোচ বিষয়টার ইতিবাচক সমাধান হলেই ভালো।’
শোনা যাচ্ছে, বেটার অফার ছাড়াও হাথুরু যে কটি বিশেষ কারণে পদত্যাগ করেছেন, তার অন্যতম হলো সিনিয়র ক্রিকেটারদের আচরণ এবং দলে তাদের নজরদারি ও খবরদারি। এছাড়া ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন, তার অভিমানের বড় কারণ ক্রিকেটাররাও।
এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে মুশফিক বলেন, ‘এটা যার যার ব্যক্তিগত বাপার। উনি কী নির্দিষ্ট কিছু প্লেয়ার বা পুরো টিমের ওপর অসন্তুষ্ট, তা এখনো ক্লিয়ার না। আসলে আমরা এখনো ক্লিয়ার না, ঠিক কোন কারণে তার সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে। উনি (হাথুরু) আসলে বোর্ডের সাথে বসে যেটা সেটেল্ড করবেন, তাই হবে।’