রিপোর্ট : শামীম হোসেন জয়।
নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আঃ মন্নান সিকদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে গত সোমবার স্থানিয় আ”লীগ নেতা আমির সোহেল মল্লিক তার নিজের আইডি থেকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।এরপর গত মঙ্গলবার বিকেলে আমির সোহেল মল্লিক তার সমর্থকদের নিয়ে তালতলা বাজারের বিভিন্ন স্থানে মহড়া দেন এবং মন্নান চেয়ারম্যানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙ্গচুর চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সে সময় চেয়ারম্যান মান্নান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং আমির সোহেল কে তার প্রতিষ্ঠান ভাংচুরে বাধা দিলে এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় আমির সোহেলের হাতে ছিল লাইসেন্স করা একটি শটগান। হামলায় উভয়পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়। আহতরা হলেন চেয়ারম্যান আঃ মন্নান সিকদার, আ”লীগ নেতা আমির সোহেল মল্লিক, মামুন সিকদার, বশির হোসেন ও সুজন হোসেন।সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মান্নান শিকদার অভিযোগ করেন, আমির সোহেল মল্লিক তার দলবল নিয়ে তালতলা বাজারে আমার ব্যবসা প্র্রতিষ্ঠান শিকদার ট্রেডার্সে হামলা চালায় এবং সে আমাকে হত্যা করার জন্য শটগান কপালে ঠেকিয়ে গুলি করতে উদ্ধত হন । এসময় এলাকাবাসী প্রতিরোধ করায় আমি প্রানে বেচে যাই।
অপরদিকে আ’লীগ নেতা আমির সোহেল মল্লিক অভিযোগ করেন , তালতলা বাজারে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় আমাকে চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন এসে জোরপূর্বক শিকদার টেডার্সে তুলে নিয়ে যায়। এরপর শাটার বন্ধ করে চোখ বেধে আমাকে মারধর করে এবং দোকানের ভেতরে আটকে রাখে পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।
সুবিদপুর ্ইউনিয়নের দায়িত্বরত নলছিটি থানার এ এস আই নজরুল ইসলাম জানান ওপেন হাউজডের চিঠি বিলি করতে তালতলা বাজারে গেলে এক ব্যক্তিকে শর্টগান নিয়ে চেয়ারম্যানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে ছুটে যেতে দেখতে পেয়ে আমি দ্রুত তার গতিরোধ করি। নলছিটি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, তালতলা বাজারের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি এবং আমির সোহেল মল্লিকের কাছে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রটির (শটগান) লাইসেন্স রয়েছে বলে তিনি জানান। গুলিসহ অস্ত্রটি পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি আরও বলেন, এঘটনায় কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।