৬৭ বছর পর বরিশালে এসে নিজের জন্মভিটায় ঘুরে গেলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিপিএ কনফারেন্সে যোগ দিতে তিনি বাংলাদেশে আসেন।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে তিনি শিশুকালের স্মৃতি খুঁজতে বরিশাল নগরের জীবনানন্দ দাশ সড়ক সংলগ্ন ডগলাস বোর্ডিং (সেন্ট অ্যানেস মেডিকেল সেন্টার) পরিদর্শনে যান। সেখানেই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
সেন্টারটি পরিদর্শনের পর সেখানকার সেবিকাদের সহযোগীতায় নিজের জন্ম রেজিস্ট্রারটিও খুঁজে পান তিনি। পরিদর্শনকালে রেজিস্টারে তার মায়ে নাম দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ১৯৪৫ সালের ৩০ আগস্ট এখানে জন্মগ্রহণ করেন বিমান বন্দোপাধ্যায়। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিলো ১৪৫০। ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ থেকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার ভারতে চলে যান।
কিছুক্ষণ স্মৃতিচারণ করে সেখান থেকে চলে যান সরকারি বরিশাল কলেজে। কলেজটির দীর্ঘবছরের পুরনো তমাল গাছের নিচেই কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি।
এরপরেই স্ত্রী নন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ছুটে যান নগরীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি ব্রজমোহন কলেজ সংলগ্ন নিজের পৈতৃক ভিটায়। তার বড় বোনের কাছে তাদের এখানে বাড়ি থাকার কথা শুনেছেন। বড় বোনের কথা অনুযায়ী কলেজের শহিদ মিনার গেটের বিপরিতে তার বাড়িটি ঘুরে দেখেন। তবে সেই বাড়ি দেশ ত্যাগের সময় বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরবর্তীতে তিনি আগৈলঝাড়ার গৈলা মনসা মন্দির পরিদর্শনে যান।
বরিশালে নিজ জন্মস্থান ও পূর্বপুরুষের বসত-ভিটা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পীকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিস্তা নদীর পানি বন্টনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। বিষয়টি দুদেশের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যা বলার বলেছেন। ব্যাক্তিগতভাবে নতুন করে বলার কিছু নেই।
সফরকালে তার সঙ্গে ছিলেন- স্ত্রী নন্দীতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাংলাদেশের অবস্থিত ভারতীয় দুতাবাসের প্রেস ইনফরমেশন অ্যান্ড কালচার এটাচে রঞ্জন মন্ডল।